লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার ধরলা নদীতে ডুবে নিখোঁজের তিন দিন পর ভারত সীমান্ত থেকে এক মানসিক প্রতিবন্ধী নারীর মরদেহ উদ্ধার হয়েছে।
নিহত নারী হাতীবান্ধা উপজেলার বড়খাতা ইউনিয়নের দোলাপাড়া গ্রামের মোবারক হোসেনের মেয়ে মমিনা খাতুন (৩০)।
বুধবার (৯ আগস্ট) পাটগ্রাম থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাহাবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ভারতীয় বিএসএফের কাছ থেকে মমিনা খাতুনের মরদেহ নেওয়া হয়েছে। পরে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) সন্ধ্যায় উপজেলার খারিজা জোংড়া জুগিটারী সীমান্ত দিয়ে মরদেহটি ফেরত দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। এ সময় ওই নারীর স্বজন ও স্থানীয় ইউপি সদস্য উপস্থিত ছিলেন। এর আগে গত ৫ আগস্ট উপজেলার খারিজা জোংড়া যুগিটারী সীমান্তে ধরলা নদীতে পড়ে নিখোঁজ হন তিনি।
জানা গেছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিএসএফ সদস্যরা শীতলখুচি এলাকা থেকে মমিনা খাতুনের মরদেহ উদ্ধার করেন। পরে পরিবারের লোকজন ভারতে বসবাসকারী আত্মীয়দের সংবাদ দিলে তারা শীতলখুচি এলাকার বিএসএফ ক্যাম্পে গিয়ে মরদেহটির পরিচয় শনাক্ত করেন।
এদিকে সোমবার (৭ আগস্ট) খারিজা জোংড়া সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের পতাকা বৈঠকের পর আইনগত প্রক্রিয়া শেষে মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) সন্ধ্যায় মমিনার মরদেহ বিজিবি ও পাটগ্রাম থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
নিহতের ভাই আব্দুল খালেক জানান, সীমান্তের বাসিন্দা রাজমিস্ত্রি হাফিজুল ইসলাম আমার মানসিক প্রতিবন্ধী বোনকে নদীতে নামতে দেখেন। পরে বোন নিখোঁজ হন। এ সময় সংবাদ পেয়ে নদীতে অনেক খোঁজাখুঁজি করে তাকে পাওয়া যায়নি। পরে জানতে পারি ভারতে এক অজ্ঞাত নারীর মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। ভারতে থাকা আত্মীয়-স্বজনের মাধ্যমে খোঁজ নিয়ে মরদেহ শনাক্ত করি। বিজিবি ও বিএসএফের মাধ্যমে কাগজপত্র জমা দিয়ে তিন দিন পর মরদেহ পেয়ে রাতেই দাফন করি।
পূর্বকোণ/এসি