চট্টগ্রাম মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

ইফতারে অপরিসীম সাওয়াব ও বরকত

রায়হান আজাদ 

২৩ এপ্রিল, ২০২১ | ১১:০৬ পূর্বাহ্ণ

আজ রহমত দশকের শেষ দিন। ইফতার হচ্ছে সূর্যাস্তের সাথে সাথে রোজা পালনকারী কোন কিছু খেয়ে রোজা ভেঙে দেয়া। ইফতার গ্রহণ সুন্নাত। ইফতার রকমারি নাস্তার পসরা নয়, যে কোন কিছু খেয়ে রোজা ভেঙে দেয়া মাত্র।

ইফতারের মধ্যে প্রচুর সাওয়াব, কল্যাণ, আনন্দ ও তৃপ্তি রয়েছে। শারীরিক সক্ষমতা, সুস্থতা ও অপরিসীম বরকত হাছিলের জন্য ইফতার করা প্রয়োজন।

পবিত্রতা ঈমানের অঙ্গ। অজু করে পাক সাফ হয়ে ইফতার করতে যাওয়া উত্তম। ইফতার গ্রহণের পূর্বে পড়ার একটি প্রসিদ্ধ দু‘আ রয়েছে। এ দু‘আ পড়ে ইফতার শুরু করলে অনেক ছাওয়াব হয়। দোয়াটি “আল্লাহুম্মা লাকা ছুমতু ওয়া বিকা আমানতু ওয়া আলাইকা তাওয়াক্কালতু ওয়া আলা রিয্ধসঢ়;কিকা আফতারতু”। ইফতারির সময়টি রোজাদারের জন্য দারুণ আনন্দের। এ সময় চাপা চাপা খুশীতে সবার মন ভরে উঠে। রাসুলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ফরমায়েছেন, ‘রোজাদারের আনন্দের সময় দুটো। একটি ইফতারের সময় অন্যটি আল্লাহ তা’য়ালার সাথে সাক্ষাৎ লাভের সময়”।

ইফতারের সময় দোয়া করার গুরুত্ব ও ফজিলত সম্পর্কে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “তিন শ্রেণীর লোকের দোয়া ব্যর্থ যায় না(১) ইফতার প্রাক্কালে রোজাদারের দোয়া (২) ন্যায়পরায়ণ নরপতির করজোড়ে মিনতি (৩) মজলুমের বুক ফাটা ফরিয়াদ।

খেজুর দিয়ে ইফতার করা উত্তম। এতে অশেষ বরকত ও ফজিলত রয়েছে। এ সম্পর্কে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, হযরত আনাস রদিআল্লাহু তা‘আলা আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নামাজের পূর্বে গুটি কয়েক রুতব অর্থাৎ আধাপাকা বা সদ্য পাকা খেজুর দিয়ে ইফতার করতেন। রুতব না পেলে পূর্ণ পাকা খেজুর দিয়ে ইফতার করতেন। আর যদি তাও না পেতেন তাহলে কয়েক কুলি পানি দ্বারা ইফতার করতেন। (আহমদ, আবু দাউদ ও তিরমিজি) ।

ইফতার গ্রহণ করা শারীরিকভাবে যেমনি প্রয়োজন তেমনি শরীয়তে এর যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “আমার উম্মত ততদিন কল্যাণের মধ্যে থাকবে যতদিন তারা তাড়াতাড়ি ইফতার করবে এবং দেরিতে সাহরি খাবে”(আহমদ)। অন্য একটি হাদীসে রয়েছে, “আল্লাহ তা‘য়ালা বলেন- আমার কাছে সর্বাপেক্ষা বড় বান্দা তারাই যারা যথাসময়ে ইফতার করে-(তিরমিজি) বুখারী শরীফে আছে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘সময় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইফতার করলে মুসলমানরা সাফল্য ও উন্নতি লাভ করবে। অন্যান্য কিতাবধারীরা বিলম্বে ইফতার করে’। আল্লাহ পাক আমাদেরকে যথাসময়ে সুন্নাতী তরীকায় ইফতার করার তৌফিক এনায়েত করুন, আমীন।

পূর্বকোণ/এএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট