বাশার আল–আসাদ এখন সিরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট। দেশ ছেড়ে পালিয়ে রাশিয়ায় আশ্রয় নিয়েছেন তিনি।
এদিকে তার পতনের পর প্রেসিডেন্টের প্রাসাদে ঢুকে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। সাথে ইরানের দূতাবাসেও হামলা-লুটপাট চালায় আসাদবিরোধীরা।
দামেস্ক থেকে এএফপির প্রতিনিধি এমনটাই জানিয়েছে।
বার্তা সংস্থাটির প্রতিনিধি জানান, বাশার আল–আসাদের পতনের খবর নিশ্চিত হলে সাধারণ মানুষ রাজপথে নেমে উল্লাস করেছেন। এদিন রাজধানী দামেস্কে অবস্থিত প্রেসিডেন্টের ছয়তলা বাসভবনে ঢুকে পড়েন নারী, শিশু ও পুরুষ অনেকে। ভবন থেকে দামি জিনিসপত্র নিয়ে যেতে দেখা গেছে তাদের অনেককে। এসময় বিভিন্ন কক্ষ তছনছ ও ভাঙচুরও চালান আসাদবিরোধীরা এবং সম্মেলন কক্ষে আগুন ধরিয়ে দেন তারা।
এদিকে জানা গেছে, সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে অবস্থিত ইরানের দূতাবাসে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।
রবিবার (৮ ডিসেম্বর) অভিজাত মাজেহ এলাকায় অবস্থিত দূতাবাসটিতে দুর্বৃত্তরা এ হামলা চালায়।
ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন জানিয়েছে, হামলার আগেই কূটনীতিকদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। তাই বড় কোনো বিপদ ঘটেনি।
তারা আরও জানায়, ‘অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিরা ইরানের দূতাবাসে হামলা চালিয়েছে। বিভিন্ন নেটওয়ার্কে প্রচারিত ছবিতে আপনারা সেটি দেখেছেন। ’
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাকাইকে উদ্ধৃত করে তেহরান টাইমসের অনলাইন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামলা চালানোর আগে কূটনীতিকরা দূতাবাস ত্যাগ করেন। তারা নিরাপদে রয়েছেন।
এএফপির একজন ফটোগ্রাফার ঘটনাস্থল থেকে জানান, ইরান দূতাবাস ভবনের মেঝেতে ভাঙা কাচ ও আসবাবপত্র পড়ে আছে। ছড়িয়ে–ছিটিয়ে আছে কাগজপত্র ও ফাইলসহ নানা জিনিস। একটি কক্ষে ইসলামি প্রজাতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খোমেনি এবং বর্তমান সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লা আলী খামেনির ছবির পোস্টার ভাঙা অবস্থায় থাকতে দেখা যায়। এমনকি লেবাননের হিজবুল্লাহর সাবেক প্রধান হাসান নসরুল্লাহর বাঁধানো ছবিও ভাঙা অবস্থায় মেঝেতে পড়ে ছিল।
লোকজন সেখানকার জিনিসপত্র লুট করে ট্রাকে জড়ো করছিল বলে জানান তিনি।
জানা গেছে, ব্যক্তিগত একটি উড়োজাহাজে দামেস্ক ছাড়েন বাশার আল-আসাদ। তিনি ২৪ বছর সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট ছিলেন। তবে তিনি কোথায় পালিয়েছেন, সেই তথ্য এখনও অজানা। তথ্যসূত্র: এএফপি
পূর্বকোণ/এমটি/পারভেজ