চট্টগ্রাম মঙ্গলবার, ০৭ মে, ২০২৪

সর্বশেষ:

৫ হাজার খদ্দের নিয়ে আকাশে উড়ন্ত হোটেল!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

২ জুলাই, ২০২২ | ১০:৩৭ অপরাহ্ণ

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে একটি উড়ন্ত হোটেল তৈরি কি সম্ভব? কিন্তু বিজ্ঞানের কল্পকথার মতো শোনালেও এমনই আকর্ষণীয় এক প্রকল্প হাতে নিয়েছেন জার্মান-ইয়েমেনি বিজ্ঞানী ও চলচ্চিত্র নির্মাতা হাশেম আল-গাইলি। টাইটানিক জাহাজ ও টনি হোলসটেনের ভিডিও গেম ‘কিলার ইজ ডেড’ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে প্রকল্পটি হাতে নিয়েছেন তিনি।

বিমানের নকশাও এসেছে ওই গেম থেকেই। রাশিয়ার ডিজাইনার আলেকজান্ডার তুজিকভের ধারণা কিনে নিয়ে সেই কাজটি সম্ভব করবেন হাশেম। শুধু তাই নয়, ৫ হাজার যাত্রী নিয়ে মাসের পর মাস আকাশে উড়ে বেড়াবে এই স্কাই ক্রুজ হোটেল।

বিপ্লবী এ প্রকল্পের আওতায় হোটেলের গ্রাহকরা ভোগ করবেন যাবতীয় বিলাসিতা। থাকবে সুইমিং পুল, জিম, রেস্তোরাঁ, খেলার মাঠ, চিকিৎসাকেন্দ্র, সিনেমা, থিয়েটার এমনকি শপিংমলও। এই বিশালাকার বিমানটির অন্যান্য কাজের জন্য দরকার হবে প্রচুর সংখ্যক কর্মী। ২০টি পারমাণবিক প্রপালশন ইঞ্জিন দিয়ে বাতাসে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে উড়োজাহাজটি।

হাশেমের এ প্রকল্প নিয়ে আপত্তি তুলেছেন কেউ কেউ। অনেকে বলছেন, এরোডাইনামিক এবং রক্ষণাবেক্ষণের সমস্যার কারণে এর কার্যকারিতা প্রশ্নের সম্মুখীন। আবার কেউ বলছেন, বছরের পর বছর চলার মতো পর্যাপ্ত জ্বালানি একসময় শেষ হবে না-এই নিশ্চয়তা কোথায় পাবেন প্রকল্পের কর্মকর্তারা।
এটির মাটিতে নামার নির্দিষ্ট দিন ও স্থান না থাকলে প্রকল্পটি প্রায় অসম্ভব। অনেকে বলেছেন, যদি একবার পরমাণু চুল্লিতে কোনো যান্ত্রিক গোলযোগ দেখা দেয় তাহলে বিমানটি দুর্ঘটনায় পড়বে, যা সহজেই কোনো শহরকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে সক্ষম হবে। তার চেয়ে বড় কথা হলো-যারা এটিতে ভ্রমণ করবেন, বলা যায় উড়ন্ত হোটেলটিতে বসবাস করবেন-তাদের খরচ কীভাবে নির্ধারিত হবে।

ফ্লাইটটির চুল্লিগুলো বছরের পর বছর উড়তে যথেষ্ট শক্তি সরবরাহ করবে। স্কাই ক্রুজের মতো প্রকল্প যদি বাস্তবে রূপ নেয়, তবে এটি এর কল্পবিজ্ঞানের ধারে কাছে থাকবে না। আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই বাস্তবে রূপ নিতে পারে এই ভাসমান ‘ক্রুজ হোটেল’।

 

পূর্বকোণ/মামুন/পারভেজ

শেয়ার করুন