চট্টগ্রাম সোমবার, ০৬ মে, ২০২৪

সর্বশেষ:

রোজায় পরিপাকের সমস্যায় করণীয়

অনলাইন ডেস্ক

২৮ এপ্রিল, ২০২২ | ৯:৫৬ অপরাহ্ণ

রোজাদার ব্যক্তিরা রোজার শুরুতে যদি কিছু নিয়ম বা পরিকল্পনা করে সেহরি, ইফতার ও রাতের খাবার খেয়ে রোজা রাখেন তাহলে পরিপাকের কিছু সমস্যা থেকে ভালো থাকবেন।

ইফতারের সময় ভাজাপোড়া, অতি তৈলাক্ত খাবার না খাওয়াই ভালো। ইফতারের সময় যেসব সতর্কতা মানতে হবে তা হলো অল্প অল্প করে খেতে হবে, পেট পুরে খাওয়া চলবে না, হালকা খাবার খেতে হবে এবং একটু বিরতি দিয়ে দিয়ে পানি পান করতে হবে। এ সময় ভাজাপোড়া ও বাইরের খাবার না খাওয়া উত্তম। মাগরিবের নামাজের পর কিন্তু তারাবির নামাজের আগেই রাতের মূল খাবার খেতে হবে। রাতে আর খাওয়ার প্রয়োজন নেই। লক্ষ্য রাখবেন খাবারগুলো যেন কম ঝাল, কম মসলাদার হয়।

অনেকেই সেহরি ও ইফতারে চা-কফি পান করেন। এগুলো শরীর চাঙ্গা করতে ভালো কাজ করলেও প্রস্রাবের পরিমাণ বাড়ায়। তাই শরীর থেকে পানি বেশি বের হয়ে যায়, এতে শরীর দ্রুত পানিশূন্যতায় আক্রান্ত হয়। এমনকি মিষ্টি পানীয়, যেমন শরবত বেশি পিপাসা তৈরি করে। এ কারণে খনিজ উপাদানে ভরপুর খাদ্যদ্রব্য গ্রহণ করা বেশি ভালো।

এসব সতর্কতা অবলম্বনের পরও যদি এসিডিটি বা গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা, পেটের ভিতর মোচড়ায় বা বুকজ্বলা ইত্যাদি সমস্যা হতেই থাকে তবে অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ সাপেক্ষে চিকিৎসা নিতে হবে।

পরিপাকের সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে মেনে  চলুন কিছু নিয়মাবলী:

১) যাদের এসিডিটি, আলসার, বুকজ্বলা ইত্যাদি সমস্যা আছে বা রোজা রাখলে অমন অনুভব করেন, তারা ভাজাপোড়া, চর্বিযুক্ত খাবার, টক ফল (যেমন লেবু, আঙুর, কমলা) এবং টমেটোযুক্ত খাবার বাদ দিন।

২)  অবশ্যই অতিরিক্ত মসলাদার খাবার, টিনজাত খাবার বাদ দিন। দেখা যায় কৌটা বা টিনে প্রক্রিয়াজাত খাবারে সাধারণ উচ্চমাত্রার প্রিজারভেটিভ থাকে, যা এসিডিটি, বুকজ্বলা, আলসারের সমস্যা তৈরি করে।

৩) বেশি চিনিযুক্ত ও রিফাইন্ড কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাবার (যেমন বিস্কুট) এড়িয়ে চলুন।

৪)  বাদ দিন কোলা বা ক্যাফেইন জাতীয় পানীয়।

৫)  ধূমপান চিরতরে বাদ দিন। ধূমপানের সঙ্গে পাকস্থলীর প্রদাহ ও আলসারের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আছে। ধূমপান পুরনো আলসারের ক্ষত বাড়ায়, নতুন আলসার সৃষ্টি করে।

৬) আঁশযুক্ত কার্বোহাইড্রেট যেমন লাল চাল, লাল আটা, বিট, যব ইত্যাদি। এগুলো খেলে ক্ষুধাও খুব কম অনুভূত হয়।

৮)  ইফতারে মিষ্টি বা উচ্চ চিনিযুক্ত খাবারের পরিবর্তে খেজুর খান। কারণ খেজুরে আছে চিনি, আঁশ, কার্বোহাইড্রেট, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়ামসহ অনেক খনিজ উপাদান।

৯)  কলা কার্বোহাইড্রেট, পটাসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়ামের ভালো উৎস।

১০) সেহরিতে এক গ্লাস দুধ খেলে পাকস্থলীর প্রদাহ ও আলসারের উপসর্গ কমে যায়।

১১)  খাবার চিবিয়ে খান ও হাত দিয়ে মেখে খান। তাড়াহুড়ো করে খাবার খাবেন না।

১২) কোষ্ঠকাঠিন্য এড়াতে প্রচুর আঁশযুক্ত খাবার ও শাক-সবজি বেশি বেশি খাবেন। ইফতারি ও সেহরিতে প্রচুর পানি খেতে পারেন।

পূর্বকোণ/সাফা

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট