চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ০৯ মে, ২০২৪

সর্বশেষ:

রোহিঙ্গা ক্যাম্প হাটবাজার ভরপুর নিষিদ্ধ পলিথিনে

কায়সার হামিদ মানিক, উখিয়া

৮ ডিসেম্বর, ২০১৯ | ৪:৫৯ পূর্বাহ্ণ

উপজেলার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আশ-পাশের হাট-বাজারে দিন দিন বেড়েই চলেছে নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন ব্যাগের ব্যবহার।

উপজেলার বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, শপিং মল, কাঁচা বাজার, মাছবাজারে পলিথিন বিক্রি ও বিপণনের রীতিমত উৎসব চলছে। বিশেষ করে উপজেলাসহ রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ভেতরে গড়ে ওঠা হাট-বাজারের বিভিন্ন দোকানে দেখা গেছে এসব পলিথিনের ব্যবহার। সরেজমিনে দেখা যায়, উখিয়া সদর ছাড়াও কুুতুপালং, বালুখালী, থাইংখালী, পালংখালী বাজারসহ আশপাশের দোকানপাটে গ্রাহকদের হাতে পলিথিন ব্যাগ সরবরাহ করা হচ্ছে। এতে মাটি হারাচ্ছে তার উর্বরতা ও বন্ধ হচ্ছে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা। দূষিত হচ্ছে বিশুদ্ধ বায়ু প্রবাহ। স্বল্প পূঁজিতে অধিক লাভজনক ও বাজারে এর ব্যাপক চাহিদা থাকায় কিছু অসাধু ব্যবসায়ী দূর-দূরান্ত থেকে কৌশলে বিভিন্ন রকমের এসব পলিথিন নিয়ে এসে দেদারছে বিক্রি করছে হাটবাজারে।

পরিবেশ অধিদপ্তরের সূত্রমতে, ১৯৮২ সালের প্রথম দিকে দেশের অভ্যন্তরীণ বাজারে প্রথম পলিথিনের বাজারজাত ও ব্যবহার শুরু হয়। সহজে পরিবহনযোগ্য ও স্বল্পমূল্যের কারণে এদেশের ব্যাপক জনগোষ্ঠীর কাছে পলিথিনের ব্যবহার দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠে। কিন্তু ক্রমান্বয়ে পলিথিনের ব্যাপক চাহিদা ও যত্রতত্র ব্যবহার এবং ফেলে রাখার কারণে পরিবেশের মারাত্মক বিপর্যয় ডেকে আনছে। বিশেষ করে ড্রেন, ডোবা, পুকুর, নালা, খালসহ বিভিন্ন জলাশয়ে পলিথিন জমা হবার কারণে ওইসব স্থানে জলের স্বাভাবিক প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়। বাংলাদেশ সরকারের পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ১৯৯৩ সালে সারাদেশে প্রতিদিন ৪.৫ মিলিয়ন পলিথিন ব্যাগ ব্যবহার হতো। ২০১৩ সালে এর ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ৯.৩ মিলিয়নে। বর্তমানে তার দ্বিগুণ। এভাবে চলতে থাকলে ভবিষ্যতে এদেশের পরিবেশ ও জীববৈচিত্রের জন্য অপেক্ষা করছে মারাত্মক বিপর্যয়। এ বিষয়ে ‘পরিকল্পিত উখিয়া চাই’র আহ্বায়ক সাংবাদিক নুর মোহাম্মদ বলেন, পলিথিন যেমন নষ্ট করছে মাটির উর্বরতা, তেমনি আমাদের পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থাও নষ্ট হচ্ছে দিন দিন। পলিথিনের কারণে গাছ তার জীবনীশক্তি হারাচ্ছে। তাই সরকারের প্রতি অনুরোধ, এই পলিথিনের উৎপাদন বিপণনকে কঠোরভাবে দমন করা হোক।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নিকারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকায় আমরা প্রশাসনের উদ্যোগে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করি। কিন্তু কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অধিক মুনাফার লোভে এই ব্যবসায় পুনরায় ফিরে আসে। আমরা এ বিষয়ে নজরদারি বাড়াবো এবং শীঘ্রই আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট