চট্টগ্রাম মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ, ২০২৫

সর্বশেষ:

নাগরিক সুবিধা বঞ্চিত উড়িরচরবাসীর আকুতি

বিজ্ঞপ্তি

২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ | ৬:০৪ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার বিচ্ছিন্ন ইউনিয়ন উড়িরচরের নদী ভাঙনরোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতসহ নাগরিক সুবিধার দাবিতে মানববন্ধন করেছে চরবাসী।

 

সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় বাংলা বাজার জিরো পয়েন্ট মোড়ে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় প্রখর রোদ উপেক্ষা করে স্থানীয় বিদ্যালয় ও মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষক, কৃষক, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন পেশার হাজারো মানুষ উপস্থিত হয়ে বৈষম্য ও জবরদখলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেন।

 

মানববন্ধনে তারা ‘উড়ির চরের সীমানা জটিলতা দ্রুত নিরসন চাই’, উড়িরচর কোম্পানিগঞ্জ ক্রসড্যাম দ্রুত বাস্তবায়ন, সন্ত্রাস নির্মূল চাইসহ বিভিন্ন স্লোগান সম্বলিত প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন।

 

মানববন্ধনে উড়িরচরের বাসিন্দারা অভিযোগ করে বলেন, উড়িরচরে বসতি স্থাপনের অর্ধশত বছর পূর্ণ হতে চললেও রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে সেখানে কোনো নাগরিক ও জনসুবিধা নিশ্চিত করা হয়নি। উল্টো বাসিন্দাদের অসহায়ত্বের সুযোগে রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় গড়ে উঠেছে দস্যুতা ও জবরদখলের সংস্কৃতি।

 

ইউনিয়নের মধ্যভাগে চট্টগ্রাম ও নোয়াখালী জেলার সীমারেখা নির্ধারণকে কল্পিত ও নিয়ম নীতির চরম উপেক্ষা বলে গণ্য করেছেন তাঁরা। উড়িরচরের বাসিন্দাদের দাবি, উড়িরচরকে দুই জেলায় বিভক্তি এখানকার জনসাধারণ মেনে নেবে না। অবিলম্বে একতরফা সীমানা নির্ধারণ বাতিল করতে প্রধান উপদেষ্টা এবং বিদ্যুৎ, খনিজ ও জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খানের প্রতি আহবান জানান তাঁরা।

 

মানববন্ধনে তাঁরা শিক্ষার পরিস্থিতি তুলে ধরে বলেন, এই ইউনিয়নে এখনও পর্যন্ত কোন এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নেই। কোনো কলেজ নেই। ভালো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অভাবে অনেকেরই শিক্ষা জীবন মাধ্যমিকেই থেমে যায়। স্বাস্থ্যের নাজুক পরিস্থিতি তুলে ধরে অন্তত ১০ শয্যা বিশিষ্ট একটি হাসপাতাল নির্মাণের দাবি জানান।

 

তারা বলেন, আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে একটি পু্লিশ ফাঁড়ি থাকলেও তা তেমন কোন কাজে আসে না। একটি জিডি করা যায় না। ফাঁড়ির কোন স্থায়ী ভবনও নেই।

 

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সালেহ নোমান, গণমাধ্যমকর্মী ও উড়িরচরের সন্তান নুর নবী রবিন, উড়ির চর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ হাসান, সোলাইমানীয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার বেলায়েত হোসেন, স্থানীয় বাসিন্দা মিলাদ দ্বীপরাজ, নজরুল ইসলাম সোহেল, মাইন উদ্দীন খাঁন ফুলমিয়া, শরীফ হোসাইন অনিক, কামরুল হাসান, হাবিব বিডি, নাজিম উদ্দীন, মাফিয়া ময়না, মো. দিদার, মো. দিলদার, হাফেজ মাইনউদ্দীন প্রমুখ।

 

 

পূর্বকোণ/জেইউ/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট