কেউ আঁকল শহিদ মিনারের ছবি, কেউ জুলাই বিপ্লবের শহিদ আবু সাঈদ, মুগ্ধের জীবনদানের ছবি। আবার কেউ কেউ পৃথিবীর পরিবেশে গ্রিনহাউস গ্যাসগুলির বৃদ্ধির ফলে গ্লোবাল তাপমাত্রার বৃদ্ধি, প্রতিরোধে সচেতনতামূলক বিভিন্ন পদক্ষেপের ছবিও এঁকেছে।
আজ শনিবার চট্টগ্রাম নগরীর চকবাজার গুল-এজার বেগম সিটি কর্পোরেশন মুসলিম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের তিনটি ফ্লোরে ক্ষুদে আঁকিয়েরা এভাবেই ফুটিয়ে তোলে বাঙালির সংগ্রামে নানা অধ্যায়, পরিচ্ছন্ন ও সবুজ বাংলাদেশের স্বপ্ন।
সকাল ৯টায় শিশু-কিশোরদের সৃজনশীলতার বিকাশ ও পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ক্লিন বাংলাদেশ আয়োজন করে এই চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার। এতে প্লে থেকে অষ্টম শ্রেণির আট শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেয়। তিনটি বিভাগের ১০ জন করে ৩০ বিজয়ীর হাতে পুরস্কার ও অংশগ্রহণকারী সকলকে সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। এছাড়াও ছিল ক্ষুদে শিল্পীদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। অনুষ্ঠানের মিডিয়া পার্টনার হিসেবে ছিল দৈনিক পূর্বকোণ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক শহিদুল্লাহ শাহরিয়ার। তিনি বলেন, শিশুদের মধ্যে পরিবেশ সচেতনতা গড়ে তুলতে শিল্প চর্চার গুরুত্ব অপরিসীম। ক্লিন বাংলাদেশের এই আয়োজন আগামী প্রজন্মকে পরিচ্ছন্ন বাংলাদেশ গড়তে অনুপ্রাণিত করবে।
প্রতিযোগিতার বিচারক ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের সহযোগী অধ্যাপক রুহুল করিম রুমি। তিনি বলেন, শিল্পের শক্তি সমাজকে বদলে দিতে পারে। এই প্রতিযোগিতা শিশুদের পরিবেশ ও সমাজ নিয়ে ভাবতে শেখাবে, যা সত্যিই প্রশংসনীয়।
বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন গুল-এজার বেগম সিটি কর্পোরেশন মুসলিম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাইফুল্লাহ। এছাড়া, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়রের একান্ত সচিব মারুফুল হক চৌধুরী ক্লিন বাংলাদেশের কার্যক্রমের প্রশংসা করে বলেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন সবসময় এ ধরনের ইতিবাচক উদ্যোগের পাশে থাকবে। পরিচ্ছন্ন ও বাসযোগ্য নগর গড়তে আমাদের সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ক্লিন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা শওকত হোসেন জনি। তিনি বলেন, আমরা চাই আমাদের আগামী প্রজন্ম পরিচ্ছন্নতা, পরিবেশ এবং সমাজের প্রতি দায়িত্বশীল হয়ে গড়ে উঠুক। এই চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা শুধু শিল্পচর্চার মাধ্যম নয়, বরং সচেতনতা বৃদ্ধিরও গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ক্লিন বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক তানভীর রিসাত।
আয়োজকরা প্রতিযোগিতার সার্বিক সাফল্যে অংশগ্রহণকারী, অতিথি, বিচারক ও আয়োজক কমিটিকে ধন্যবাদ জানান এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের শিক্ষামূলক ও সৃজনশীল কার্যক্রম অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দেন।
পূর্বকোণ/জেইউ/পারভেজ