চট্টগ্রাম-কক্সবাজার নতুন রেলপথে চালু হওয়া সৈকত এক্সপ্রেস ও প্রবাল এক্সপ্রেসের প্রথম দিনেই (১ ফেব্রুয়ারি) যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। প্রথম দিনেই কক্সবাজার রুটে টিকিট বিক্রি করে আয় হয়েছে ৪ লাখ ৭২ হাজার ৪৩৮ টাকা।
কক্সবাজার আইকনিক রেল স্টেশনের স্টেশন মাস্টার মো. গোলাম রব্বানী জানান, চট্টগ্রাম থেকে সকাল ৬টা ১৫ মিনিটে ছেড়ে আসা সৈকত এক্সপ্রেস কক্সবাজার পৌঁছানোর কথা ছিল সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে। তবে হাতি চলাচলকারী এলাকায় ট্রেনের গতি সীমিত রাখা এবং কিছু নির্মাণকাজ অসমাপ্ত থাকায় ট্রেনটি কক্সবাজার পৌঁছায় সকাল ১০টা ২৫ মিনিটে। এছাড়া, কক্সবাজার থেকে ট্রেনটি সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে ছাড়ার কথা থাকলেও অতিরিক্ত বগি যুক্ত করার কারণে ট্রেনটি সকাল ১১টায় ছাড়ে।
প্রথম দিনেই প্রবাল এক্সপ্রেস (৮২২) এর কক্সবাজার স্টেশনে ৯২১টি টিকিট বিক্রি হয়, যা থেকে আয় হয়েছে ২ লাখ ৮ হাজার ৯২৩ টাকা। অন্যদিকে, সৈকত এক্সপ্রেস (৮২৪) থেকে টিকিট বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ১৩৪টি, যা থেকে আয় হয়েছে ২ লাখ ৬৩ হাজার ৫১৫ টাকা। প্রথম দিনেই শুধুমাত্র কক্সবাজার আইকনিক রেল স্টেশন থেকে মোট ২ হাজার ৫৫টি টিকিট বিক্রি হয়।
মো. গোলাম রব্বানী আরও জানান, দুই ট্রেনেই যাত্রীদের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। প্রথম দিনেই চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলপথে ট্রেন চলাচল নিয়ে যাত্রীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ দেখা গেছে।
সৈকত এক্সপ্রেস: চট্টগ্রাম থেকে প্রতিদিন ভোর ৬টা ১৫ মিনিটে ছেড়ে সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে কক্সবাজার পৌঁছাবে। কক্সবাজার থেকে সন্ধ্যা ৮টা ১৫ মিনিটে রওনা হয়ে রাত ১১টা ৫০ মিনিটে চট্টগ্রামে পৌঁছাবে।
প্রবাল এক্সপ্রেস: কক্সবাজার থেকে সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ছাড়বে। চট্টগ্রামে পৌঁছে বিকাল ৩টা ১০ মিনিটে আবার কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে সন্ধ্যা ৭টায় পৌঁছাবে।
এই নতুন রেল পরিষেবার সফল উদ্বোধন কক্সবাজারের সঙ্গে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের যোগাযোগকে আরও সহজ ও সুগম করেছে। কর্তৃপক্ষ আশা করছেন, এই রেলপথ পর্যটন ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে আরও গতিশীল করবে এবং স্থানীয় ও পর্যটকদের জন্য একটি নির্ভরযোগ্য পরিবহন বিকল্প হিসেবে কাজ করবে।
স্থানীয়সহ বিভিন্ন পর্যটকেরা মনে করছেন, ঢাকা-কক্সবাজার রুটে যত ট্রেন বাড়াবে ততবেশি লাভবান হবে সরকার।
পূর্বকোণ/ইব