কর্ণফুলী নদীর কালুরঘাটে ফেরি চলাচলের জন্য এপ্রোচ সড়ক তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে ফেরি চালুর লক্ষে দ্রুত লয়ে কাজ চলছে। কালুরঘাট সেতুতে যানজট ও নদী পারাপারকারীদের ভোগান্তি কমাতে কালুরঘাট সেতুর নিচ দিয়ে কর্ণফুলী নদীতে ফেরি চালুর সিদ্ধান্ত নেয় সড়ক ও জনপথ বিভাগ।

১৫ জানুয়ারি (রবিবার) দুপুরে সরজমিনে দেখা যায়, কর্ণফুলী নদীর পূর্ব পাড়ে ফেরির জন্য এপ্রোচ সড়ক নির্মাণের কাজ চলছে। এরই মধ্যে সংগ্রহ করা ৩টি ফেরি নদীর পশ্চিম পাড়ে রাখা হয়েছে।

এপ্রোচ সড়কের কাজ শেষ হলেই ফেরি চালু হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক ও জনপথ বিভাগ সদর-২ এর উপ সহকারী প্রকৌশলী আবু মো. ভুট্টো। তিনি বলেন, ফেরি সার্ভিস চালুর জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব ফেরি চালু করা হবে। সেই লক্ষে কাজ চলছে। এরই মধ্যে ৩টি ফেরি এসে গেছে।

২টি ফেরি চলাচল করবে। অপরটি রিজার্ভে থাকবে। আশা করি ফেব্রুয়ারি মাসেই উদ্বোধন করা যাবে। এ ফেরি সার্ভিস চালুর মধ্যদিয়ে কালুরঘাট সেতুর উভয় পাশের যানজট স্বাভাবিক হবে বলে মনে করছেন সেতু পারাপারকারীরা। প্রায় শত বছরের পুরনো জরাজীর্ণ কালুরঘাট সেতুতে প্রতিদিন শত শত যানবাহনে অসংখ্য যাত্রী জীবনের ঝুঁঁকি নিয়ে চলাচল করেন। একমুখী সেতু হওয়ায় এ পার থেকে ওপার যেতে যাত্রীদের সীমাহীন দুর্ভোগে পড়তে হয়। ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকতে হয় যাত্রীদের।

জানা গেছে, কালুরঘাট সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ায় ও যানজটের কারণে চলাচলে মানুষের সীমাহীন ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। ফেরি চলাচল শুরু হলে বড় গাড়িগুলো ফেরিতে যাবে। তখন কালুরঘাট সেতুতে রেল ও ছোট গাড়ি চলাচল করবে। আর পুরনো কালুরঘাট সেতুকে সংস্কার করে কক্সবাজার রুটে ট্রেন চালানোর উপযোগী করে তোলার জন্য বুয়েটকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এদিকে প্রধানমন্ত্রী নতুন নকশায় কালুরঘাট সেতু তৈরিতে সম্মতি দিয়ে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন।

এদিকে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল সূত্র জানায়, নতুন সেতু নির্মাণের জন্য একনেকের অনুমোদন, টেন্ডার, ঠিকাদার নিয়োগ ও পরামর্শক নিয়োগসহ আনুষঙ্গিক প্রক্রিয়া শেষ করতে ২০২৩ সাল চলে যাবে। পুরনো কালুরঘাট সেতুকে সংস্কার করে কক্সবাজার রুটে ট্রেন চালানোর জন্য বুয়েটকে পরামর্শক হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তারা কাজ শুরু করেছে। সেতু মেরামতের পর কালুরঘাট সেতু দিয়ে কক্সবাজার রুটে ট্রেন চলাচল শুরু হবে।

পূর্বকোণ/আরএ