চট্টগ্রাম মঙ্গলবার, ০৭ মে, ২০২৪

তিন কারণে কমেছে চালের দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক

৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২ | ১০:৪৫ পূর্বাহ্ণ

খোলাবাজারে (ওএমএস) চাল বিক্রি, চালের শুল্কহার প্রত্যাহার ও আমদানি করা চাল বাজারে আসার কারণে কমতে শুরু করেছে চালের দাম। তিন দিনের ব্যবধানে চালের দাম বস্তাপ্রতি তিনশ টাকা পর্যন্ত কমেছে।

চালের বাজারে স্থিতিশীলতা আনতে গত সপ্তাহে শুল্কহার ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করে সরকার। শুল্কহার কমানোর কারণে ভারত থেকে আমদানি করা চাল দেশে ঢুকছে। এসব চাল দেশের বিভিন্ন পাইকারি বাজারে আসতে শুরু করেছে।

এছাড়াও গত বৃহস্পতিবার থেকে সরকার খোলাবাজারে (ওএমএস) ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি শুরু করেছে। এই তিন কারণে চালের দাম কমতে শুরু করেছে। তবে আউশ কাটা শুরু হওয়ায় বাজারে নতুন ধান আসার অপেক্ষায় রয়েছে। চালের দাম কমার পেছনে এটাকে আরেকটি কারণ বলে উল্লেখ করেছেন ব্যবসায়ীরা।

চালের অন্যতম পাইকারি মোকাম পাহাড়তলী বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এসএম নিজাম উদ্দিন পূর্বকোণকে বলেন, গত বৃহস্পতিবার থেকে চালের দাম বস্তাপ্রতি এক থেকে তিনশ টাকা কমেছে। আরও কমার সম্ভাবনা রয়েছে।

ব্যবসায়ী নেতা নিজাম উদ্দিন চালের দাম কমার বিষয়ে বলেন, ‘চালের আমদানি শুল্ক কমিয়ে ৫ শতাংশ করা, ওএমএস-খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি চালু ও আমদানি করা চাল বাজারে আসায় চালের দাম কমতে শুরু করেছে।’ তিনি বলেন, ‘আউশ মৌসুম শুরু হয়েছে। কিছুদিনের মধ্যে আউশ কাটা ও নতুন ধান বাজারে আসার অপেক্ষায় রয়েছে। এর প্রভাবও পড়ছে বাজারে।’

২০২০ সাল দেশে চালের দাম বাড়তে থাকে। করোনা সংক্রমণের পর অস্থিতিশীল হয়ে পড়ে চালের বাজার। সেই থেকে চালের বাজারে স্থিতিশীলতা আনা যাচ্ছে না। তবে সরকার দাম কমাতে সরকারিভাবে চাল আমদানি করেছে। এখন বেসরকারিভাবেও চাল আমদানি শুরু হয়েছে। কিন্তু তারপরও সুফল মিলছে না।

চালের বাজারে স্থিতিশীল আনতে গত ২৫ জুন চাল আমদানির শুল্ককর সাড়ে ৬২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশে নামিয়ে আনে। ডলার ও জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি এবং চালের রপ্তানিমূল্য বাড়ানোর অজুহাতে চালের দাম স্থিতিশীল করতে পারেনি সরকার। গত সপ্তাহে শুল্কহার আরও কমিয়ে ৫ শতাংশে আনা হয়। এরফলে আমদানি করা চাল দেশে প্রবেশ করছে।

পাহাড়তলী বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন বলেন, ‘বিভিন্ন কপোরেট গ্রুপ ও ফড়িয়া বা মধ্যস্বত্বভোগীদের কাছে বিপুল পরিমাণ চাল মজুত রয়েছে। এখন আমদানি করা চাল দেশে প্রবেশ, আউশ মৌসুম শুরু হওয়া ও সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি শুরু হওয়ায় প্রভাব পড়েছে চালের বাজারে। এরফলে মজুতদাররাও বাজারে চাল সরবরাহ বাড়িয়ে দিয়েছে।’

চালের বড় মোকাম চাক্তাই ও পাহাড়তলী চাল বাজারে দেখা যায়, বেতি আতপ চাল ২৫শ টাকা থেকে কমে এখন ২৩শ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। ভারত থেকে আমদানি করা বেতিচাল ২৪শ টাকা থেকে কমে ২১শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। নূরজাহান সিদ্ধ (ভালোমানের) ২৬শ টাকা থেকে কমে ২৪শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মধ্যমানের নূরজাহান সিদ্ধ ২৪শ টাকা থেকে কমে ২১শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। জিরাশাইল ৩৫শ টাকা থেকে কমে ৩৩শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাটারি আতপ ৩৯শ-৪ হাজার টাকা থেকে কমে এখন ৩৮শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

পূর্বকোণ/আর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট