চট্টগ্রাম রবিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪

টার্গেট চট্টগ্রামের ফাঁকা বাসা, সুযোগ পেলেই চুরি করে তারা

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৪ জানুয়ারি, ২০২২ | ৬:১৭ অপরাহ্ণ

 

চট্টগ্রাম নগরীর কোন বাসা ফাঁকা, কোন বাসায় কয়েকদিন যাবত মানুষের যাতায়াত নেই এমন খোঁজ রাখাই তাদের টার্গেট। এই তথ্য বুয়া সেজে সংগ্রহ করেন এক নারী। তা জানান তার স্বামীসহ চক্রে থাকা বাকীদের। এরপর সুযোগ বুঝে সেই বাসার স্বর্ণলংকার থেকে শুরু করে দামি জিনিসপত্র চুরি করে তারা। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না।

বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুর ২টায় নোয়াখালী জেলার চরজব্বর থানার দুর্গম এলাকা থেকে ওই নারীসহ চক্রের ৪ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পূর্বকোণকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বায়েজিদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ কামরুজ্জামান।

গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন- মো. সাইফুল ইসলাম (২২), মোহাম্মদ আলম (২৪), রুমা আকতার (৩৮) ও তার স্বামী মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন (৩২)।

ওসি মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা একটি সঙ্গবদ্ধ সিঁধেল চোর চক্রের সক্রিয় সদস্য। বায়েজিদ থানা এলাকাসহ আশপাশের এলাকাগুলোতেই বেশিরভাগ কাজ করতো তারা। এসব এলাকায় বাড়ির লোকজন বেড়াতে কিংবা অন্য কোন কাজে বাইরে থাকলেই এসব বাড়িতে বুয়া সেজে বাসা শনাক্ত করতো মহিলাটি। আর সেই তথ্য সরবরাহ করতো তার স্বামী সাইফুদ্দিনসহ অন্যদের। পরে রাতের বেলা তারা কৌশলে ওইসব বাড়িতে প্রবেশ করে স্বর্ণলংকার, নগদ টাকাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, মহিলাটি চোরাই স্বর্ণলংকার ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র চোরদের নিকট থেকে সংগ্রহ করে বিভিন্ন বাসায় ও দোকানে কৌশলে আত্মীয় স্বজনের প্রেরিত স্বর্ণ বলে বিক্রয় করে এবং চোরাই মালামাল বিক্রয়ের পূর্ব পর্যন্ত নিজ হেফাজতে লুকিয়ে রাখতো। তারা চুরি সংঘটিত করার সাথে সাথে চোরাই মালামাল নিজেদের মধ্যে ভাগ-বাটোয়ারা করে এলাকা ত্যাগ করতো।

কামরুজ্জামান বলেন, আতুরার ডিপোর তুলা কোম্পানির সৈয়দা নাসিমা জামিলের বাড়িতে এমন সুযোগ বুঝে চুরি করেছিল তারা। ২৫ ডিসেম্বর থেকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত পারিবারিক কাজে বাইরে থাকায় সুযোগ বুঝে এমন চুরি করে তারা। নিয়ে যায় প্রায় ১৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের স্বর্ণলংকার, সৌদি রিয়েল। পরে অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

পূর্বকোণ/মামুন/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট