চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ০৯ মে, ২০২৪

সর্বশেষ:

চট্টগ্রামে ৪৪৪৮ পরিবার পুনর্বাসিত

আশ্রয়ণ প্রকল্প জেলা প্রশাসনের ১৪ উপজেলার তথ্য

১৩ জুন, ২০১৯ | ১:৫০ পূর্বাহ্ণ

আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে এ পর্যন্ত চট্টগ্রাম জেলার ১৪টি উপজেলার ৪৪৪৮টি পরিবারকে পুনর্বাসিত করা হয়। এর মধ্যে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৫টি উপজেলার ২৭৬টি পরিবারকে পুনর্বাসিত করা হয়। গতকাল চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্প বাস্তবায়নকল্পে মাঠ পর্যায়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণে আয়োজিত কর্মশালায় জেলা প্রশাসন থেকে এ তথ্য জানানো হয়। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেনের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নান, কর্মশালার সমন্বয়ক মো. মাহবুব হোসেন, জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ, চট্টগ্রাম জেলার সকল উপজেলা নির্বাহী অফিসার, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা, জেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রকল্প পরিচালক (আশ্রয়ণ-২) মো. মাহবুব হোসেন প্রধান উপস্থাপক ও কর্মশালার সমন্বয়ক হিসেবে অংশগ্রহণ করেন। মাহবুব হোসেন জানান, বাংলাদেশ দুর্যোগপ্রবণ দেশ হলেও বন্যাদুর্গত মানুষের জন্য সরকারের আন্তরিকতার অভাব নেই। গৃহহীন মানুষের কষ্টের বিষয়টি অনুধাবন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ১৯৯৭ সাল থেকে আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়ে আসছে। তিনি আরো বলেন, সরকার গৃহহীন মানুষদের জন্য সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করছে। ‘একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না’-প্রধানমন্ত্রীর এ অঙ্গীকারের আলোকে দেশের সকল গৃহহীন মানুষকে বাসস্থানের ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে জানান প্রকল্প পরিচালক। প্রকল্প পরিচালক আরও বলেন, বরাদ্দকৃত ঘরে বরাদ্দ প্রাপকের থাকা নিশ্চিত করতে হবে। উপকার ভোগীর জীবিকার জন্য পারিপাশির্^ক অবস্থা বিবেচনা করে আশ্রয়ণ প্রকল্পের স্থান নির্ধারণ করতে হবে।

কর্মশালায় জেলা প্রশাসক বলেন, সরকারের ঘোষিত ‘আমার গ্রাম আমার শহর’-অঙ্গীকার বাস্তবায়নে শহরের সুবিধা গ্রামে পৌঁছাতে হবে। সবাই শহরমুখী হলে এদেশের উন্নয়ন হবে না। তিনি বলেন, শহরমুখী জন¯্রােত মোকাবিলায় গ্রামেই জীবিকা নির্বাহের ব্যবস্থা করতে হবে, কৃষিকে বাঁচাতে হবে। গ্রামে থেকে কাজ করে নিজেদের এলাকার চিত্র পাল্টাতে হবে। তিনি প্রকল্প এলাকায় ফলজ ও ঔষধি গাছ লাগানোর পরামর্শ দেন।-বিজ্ঞপ্তি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট