চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় বিভাগীয় কমিশনার

ভেজাল প্রতিরোধে মোবাইল কোর্ট জোরদার করতে হবে

২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ | ৪:৫৮ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার এ বি এম আজাদ বলেছেন, ভেজাল খাদ্য মানবদেহকে ধ্বংস করে। ভোক্তা হিসেবে এতে সকলেই সংযুক্ত। এটা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী কর্মকা-। দেশের সকল পর্যায়ের মানুষের ভেজালবিরোধী অভিযানে সম্পৃক্ত হতে হবে। নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষকে ভেজালবিরোধী অভিযানে সহযোগিতা করার জন্য জেলা প্রশাসকসহ সরকারের সকল দপ্তরের কর্মকর্তাদের এ সময় তিনি নির্দেশনা দেন। তিনি বলেন, ভেজাল খাদ্য উৎপাদন ও বিপণন বন্ধ

করতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা আরো জোরদার করতে হবে। চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে বিভাগীয় আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় গতকাল বিভাগীয় কমিশনার এ কথা জানান। সভায় অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) শংকর রঞ্জন সাহা, চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক, সিএমপি কমিশনার মো. মাহাবুবুর রহমান, বিজিবি‘র জোনাল কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল্লাহ আল মামুন, কমান্ডার এম শরিফুল হক খান, লে. কর্নেল মো মুনির হাসান, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক মো. মজিবুর রহমান পাটওয়ারী, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মাধবী বড়–য়া, চট্টগ্রাম জেলা ট্রাক মালিক সমিতির সভাপতি মো. আবদুল মান্নান, আন্তঃজেলা বাস মালিক সমিতির লাইন সম্পাদক মো. আবুল বশর উপস্থিত ছিলেন।

সভায় বিভাগীয় কমিশনার বলেন, মাদক চোরাচালান ও বিপণন রোধের মাধ্যমে সমাজকে মাদকের অভিশাপ থেকে মুক্ত করতে বিভাগীয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরকে আরো সহযোগিতা দেওয়া হবে।

সভায় জানানো হয়, ভেজাল খাদ্য উৎপাদন ও বিপণন রোধে গত বছর ডিসেম্বর মাসে ১৭৫টি অভিযান পরিচালনা করে ৩২১টি মামলা রুজু করে ৩৩ লক্ষ ৭৩ হাজার ৩শ টাকা আদায় করা হয়েছে। জানুয়ারি মাসে ১৭২টি অভিযান পরিচালনা করে ৩২৯টি মামলা রুজু করে ৩১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা আদায় করা হয়েছে। এতে ২ লক্ষ ৬৩ হাজার টাকা আদায় বৃদ্ধি পেয়েছে।

মাদক চোরাচালান ও বিপণন রোধে চট্টগ্রাম বিভাগের সকল জেলায় গত বছর ডিসেম্বরে ১৯৯টি অভিযান পরিচালনা করে ২৬৬টি মামলা দায়ের করে এক লক্ষ ১৪ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এছাড়া জানুয়ারি মাসে ১১৯টি অভিযান পরিচালনা করে ২৮৩টি মামলা দায়ের করে এক লক্ষ ৫৭ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। ডিসেম্বর মাসের তুলনায় জানুয়ারি মাসে মামলা সংখ্যা ১৭টি বৃদ্ধি পেয়েছে এবং ৪৩হাজার টাকা জরিমানা বৃদ্ধি পেয়েছে।
সভায় মেট্রোপলিটন পুলিশ প্রশাসন থেকে জানানো হয়, চট্টগ্রাম জেলায় আইন শৃংখলা পরিস্থিতি ভালো। আসন্ন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে। স্থানীয়দের মধ্যে কোন ধরণের বে-আইনি অস্ত্র ব্যবহারের তথ্য পাওয়া যায়নি।-বিজ্ঞপ্তি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট