চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

মহানগর আ. লীগের বর্ধিত সভায় ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি

দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গেলে কঠিন ব্যবস্থা

২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ | ৫:০৫ পূর্বাহ্ণ

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি বলেছেন, কি পেয়েছি এবং কি পেলাম না এটা কখনো একজন আদর্শিক রাজনীতিকের ভাবনা হতে পারে না। দল এবং জাতি কি চায়, এবং আমাকে কি দিতে হবে সেটাই হচ্ছে একজন রাজনীতিকের বড় কর্তব্যবোধ। তিনি আরো বলেন, দলের সিদ্ধান্তের বাইরে যারা অবস্থান নেবে তাদের বিরুদ্ধে কঠিন ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাই চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আমাদের আদর্শিক নেত্রী যাকে এবং যাদেরকে মনোনয়ন দিয়েছেন তাকে এবং তাদেরকে বিজয়ী করার জন্য আমাদের সংকল্পবদ্ধ হতে হবে। তিনি আরো বলেন, মেয়র এবং কাউন্সিলর পদে যারা মনোনয়ন চেয়েছিলেন তাদের অবশ্যই যোগ্যতা আছে। তাই বলে এই নয়, আমাকে দিতে হবে। আমি একাধিকবার এমপি ও মন্ত্রীও ছিলাম। তাই আমার চাওয়া বা পাওয়ার কোন বেদনা নেই। তবে আমি এটা মনে করি আদর্শের প্রতি যারা অবিচল তাদের সঠিক মূল্যায়ন হবেই হবে। তিনি গতকাল সোমবার বিকেলে মহানগর আওয়ামী লীগের এক জরুরি বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, মহানগর আ. লীগের সা. সম্পাদক ও মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের নির্দেশনামূলক সাংগঠনিক দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে নেতাকর্মীদের যে পরামর্শ দিয়েছেন, সেটাই হবে আগামী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের দলীয় প্রার্থীর বিজয়ের মাপকাঠি। তাই আমাদের মধ্যে একক ও ঐক্যবদ্ধ শক্তিকে সুদৃঢ় অবস্থানে দাঁড় করিয়ে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে। মহানগর আ. লীগের সা. সম্পাদক ও সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, মহানগর আওয়ামী লীগ দুর্যোগ ও ক্রান্তিকাল অতিক্রমের একটি রাজনৈতিক মঞ্চ। এই চট্টগ্রাম থেকেই অশুভের বিরুদ্ধে শুভ শক্তির সূচনা হয়। তাই আমাদের মধ্যে সংশয়, বিভেদ এবং মতের ভিন্নতা দূর করে পারস্পরিক সম্প্রীতির ভিত্তিকে শক্তিশালী করতে হবে। তিনি আরো বলেন, এই নগরী বাংলাদেশের আশা সম্ভানা ও সমৃদ্ধি অর্জনের ভিত্তি সোপান।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামের সামগ্রিক উন্নয়ন ও নাগরিক সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির দায়িত্ব নিজেই গ্রহণ করেছেন। তাই তিনি আমাকে যে দায়িত্ব দিয়েছেন তা যথাযথভাবে পালন করার চেষ্টা করেছি। মহানগর আ. লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও নৌকা প্রতীকের মেয়র পদপ্রার্থী এম. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, আমি নির্বাচিত হলে সকলের পরামর্শ ও চাওয়া-পাওয়া অনুযায়ী এই নগরীকে নগরবাসীর বাসযোগ্য করব। এ জন্য দলীয় নেতাকর্মীদের আমি পাশেই থাকব। তারাই আমার মূল শক্তি। আমি বিশ্বাস করি নিজেদের ছোটখাট ভুল বুঝাবুঝি এবং সম্পর্কের টানাপোড়েন ঘুছিয়ে দলীয় ঐক্যের ভিত্তিতে অবশ্যই সুদৃঢ় করতে পারবো। মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন উত্তর জেলা আ. লীগের সা. সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান, মহানগর আ. লীগের সহ-সভাপতি আলহাজ নঈম উদ্দিন চৌধুরী, এডভোকেট সুনীল কুমার সরকার, এডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন বাবুল, খোরশেদ আলম সুজন, জহিরুল আলম দোভাষ, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, সম্পাদক ম-লীর সদস্য আবদুচ ছালাম, নোমান আল মাহমুদ, শফিক আদনান, চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, সৈয়দ হাসান মাহমুদ শমশের, এডভোকেট শেখ ইফতেখার সায়মুল চৌধুরী, চন্দন ধর, মশিউর রহমান চৌধুরী, আহমেদুর রহমান ছিদ্দিকী, হাজী মো. হোসেন, হাজী জহুর আহমদ, ইঞ্জিনিয়ার মানস রক্ষিত, জালাল উদ্দিন ইকবাল প্রমুখ।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট