কক্সবাজারের পেকুয়ার পৃথক স্থান থেকে দুই ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে একজন মানসিক ভারসাম্যহীন। তার পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। অপরজন ১৯ দিন আগে নিখোঁজ চকরিয়ার গিয়াস উদ্দিন (৫৫) বলে দাবি করলেও ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত পরিচয় নিশ্চিত করা যায়নি।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন পেকুয়া ও চকরিয়া থানা পুলিশ এবং সংশ্লিষ্ট এলাকার জনপ্রতিনিধিরা।
সোমবার (২৮ আগস্ট) সকালে পেকুয়ার টইটং ও উজানটিয়া ইউনিয়নের পৃথক স্থান থেকে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
উজানটিয়া ইউপির সদস্য মো. শরীফ বলেন, টেকপাড়া বেড়িবাঁধের পাশে অর্ধগলিত একজনের মরদেহ দেখতে পায় স্থানীয়রা। পরে পুলিশ এসে তার মরদেহ উদ্ধার করেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লাশ উদ্ধারের খবর ছড়িয়ে পড়লে স্বজনরা এসে লাশটি চকরিয়া উপজেলার কাকারা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডস্থ শাহ ওমর নগর গ্রামের মৃত ফজল করিমের ছেলে গিয়াস উদ্দিন (৫৫) বলে দাবি করেন। লাশটি পচে যাওয়ায় ও বিকৃত হয়ে যাওয়ায় পরিচয় নিয়ে সন্দেহ দেখা দেয়।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাবেদ মাহমুদ জানান, গত ৯ আগস্ট লামার ফাইতং থেকে আসার পথে কাকারার গিয়াস উদ্দিন নিখোঁজ হয়। স্বজনরা বিকৃত লাশটি গিয়াস উদ্দিনের দাবি করছেন।
তিনি সিআইডি টিমের উদ্ধৃতি দিয়ে আরও বলেন, দাবিদার ও লাশের ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে পেলেই পরিচয় নিশ্চিত করা যাবে।
টইটং ইউপির চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, সকালে নতুন পাড়া মোকতার আহমদের দোকানের সামনে সড়কের ওপর ছটফট করতে করতে একজন মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তি মারা যান। তার পরিচয় পাওয়া যায়নি। রবিবার বিকেলে টইটং বাজারস্থ মার্কেটের সামনে ওই ব্যক্তি বসা ছিল। তার সাথে আমি কথাও বলেছি। সকালে শুনেছি সে মারা গেছে। তার মরদেহ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ওমর হায়দার বলেন, দুজনের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এদের মধ্যে টইটং থেকে উদ্ধার হওয়া ব্যক্তি মানসিক ভারসাম্যহীন। তার পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি। অপরজনের পরিচয় নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব চলছে।
পূর্বকোণ/জাহেদ/জেইউ/পারভেজ