মাদ্রাসায় দুই শিশু শিক্ষার্থীকে হাত-পা বেঁধে নির্মমভাবে পেটানোর ঘটনায় গ্রেপ্তার শিক্ষক মো. ইব্রাহিম (৩৫) আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় আজ বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দোষ স্বীকার করে তিনি জবানবন্দি দেন। আদালত পুলিশের কর্মকর্তা এসআই আতিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ঢাকার জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজীব হাসান তার জবানবন্দি গ্রহণ করার পরে ওই মাদ্রাসা শিক্ষককে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গত শুক্রবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় আশুলিয়ার ওই কওমি মাদ্রাসায় হেফজ বিভাগের শিক্ষার্থী শরিফুল ইসলাম (১৩) ও মাহফুজুর রহমানকে (১৩) শিক্ষক হাফেজ মোহাম্মদ ইব্রাহিম বেত দিয়ে পেটান। পিটুনির সেই ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হলে তা নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
জানা যায়, নির্যাতিত শিক্ষার্থী শরিফুল ইসলামের গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইল ও অপর শিক্ষার্থী মাহফুজুর রহমানের বাড়ি ঝালকাঠি সদর জেলার দেউলকাঠি গ্রামে।
নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থী মাহফুজুর রহমান জানায়, নির্যাতন সইতে না তার সহপাঠী শরিফুল পেরে পালিয়ে যায়। পরে তাকে খুঁজে নিয়ে এসে শিক্ষক ইব্রাহিম মাদ্রাসার ভেতর হাত-পা বেঁধে নির্যাতন চালায়। এ সময় শরিফুলকে পালাতে সহায়তার অভিযোগে তাকেও বেত্রাঘাত করে জখম করা হয়।
এ ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) আশুলিয়া থানায় মামলা দায়েরের পর সন্ধ্যায় শ্রীপুরের নতুননগর মথনেরটেক এলাকা থেকে শিক্ষক ইব্রাহিমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পূর্বকোণ/আরপি