চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

মিশরের আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে স্কলারশিপ পেলেন চবির ৫ শিক্ষার্থী

চবি সংবাদদাতা

৬ অক্টোবর, ২০২০ | ৩:৫৫ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) আরবি এবং ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের পাঁচজন শিক্ষার্থী মিশরের আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নের সুযোগ লাভ করেছে। উচ্চ শিক্ষায় চার বছর মেয়াদি পূর্ণ স্কলারশিপ নিয়ে আগামী ১০ অক্টোবর তারা মিশরের উদ্দেশ্যে রওনা হবে।

পাঁচ শিক্ষার্থী হলেন ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সৈয়দ আল আমিন, নেছার আহমদ ও শোয়াইবুল ইসলাম এবং আরবি বিভাগের উসমান গণি ও রেজাউর রহমান।

এদিকে আজ মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) সকাল ১০টায় উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতারের সাথে অফিস কক্ষে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন এ পাঁচ শিক্ষার্থী। এ সময় রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর এস এম মনিরুল হাসান, চবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জনাব মনজুরুল আলম, নাট্যকলা বিভাগের প্রফেসর ড. কুন্তল বড়ুয়া, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জনাব মুহাম্মদ আবুল হোসাইন এবং চবি প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া উপস্থিত ছিলেন।

উপাচার্য স্কলারশিপ পাওয়া শিক্ষার্থীদের আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ‘বিশ্বের আধুনিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সাথে জ্ঞানের আদান-প্রদানের মাধ্যমে আমাদের প্রাণপ্রিয় শিক্ষার্থীরা নিজেদের জ্ঞান ভান্ডারকে অধিকতর সমৃদ্ধ করতে এ ধরণের স্কলারশিপ উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’

উপাচার্য বলেন, ‘শিক্ষার্থীদেরকে সময়ের প্রতি নিষ্ঠাবান থেকে যথাযথভাবে জ্ঞান আহরণের মাধ্যমে নিজেদের মেধাকে সমৃদ্ধ করে দেশ-জাতির কল্যাণে ভূমিকা রাখার পাশাপাশি এ বিশ্ববিদ্যালয় তথা দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করবে এটাই প্রত্যাশিত। তিনি শিক্ষার্থীদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করেন।’

প্রসঙ্গত, মিশরের আল–আজহার বিশ্ববিদ্যালয় অন্যতম সেরা শিক্ষাকেন্দ্র হিসেবে বিবেচ্য। ফাতেমি খিলাফতের সময় ৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে কোরআন ও ইসলামি আইনশিক্ষার জন্য এই শিক্ষাকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। বর্তমানে সেক্যুলার বিষয়াদিও কারিকুলামে সন্নিবেশিত আছে।

মিশরের সাবেক প্রেসিডেন্ট জামাল আবদেল নাসের ১৯৬১ সালে আল–আজহারকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করেছিলেন এবং অনেক সেক্যুলার বিষয়ও এর অন্তর্ভুক্ত হয়। যেমন ব্যবসা-বাণিজ্য, অর্থনীতি, বিজ্ঞান, ফার্মাসি, মেডিসিন, প্রকৌশল, কৃষি ইত্যাদি। মিশরের বাইরে ফিলিস্তিনের গাজা এবং কাতারের দোহায় আল–আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা রয়েছে।

বর্তমানে আল–আজহারের ১৫ হাজার ১৫৫ শ্রেণিকক্ষে ৩০ হাজারের বেশি শিক্ষক পাঠদান করেন। তাঁদের কাছ থেকে পাঠ গ্রহণ করেন পাঁচ লাখের বেশি শিক্ষার্থী।

শিক্ষার্থীদের ২০ শতাংশ বিদেশি। বর্তমানে ১০২টি দেশের শিক্ষার্থী আল–আজহারে লেখাপড়া করছেন। শিক্ষকসহ আল-আজহারের কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের সংখ্যা প্রায় ১ লাখ ৩১ হাজার। তবে আল-আজহারের অধীন মিসরের প্রায় চার হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালিত হয়। এ হিসাবে আল–আজহারের বর্তমান শিক্ষার্থী ২০ লাখের মতো।

পূর্বকোণ/রায়হান-এএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট