কক্সবাজারের চকরিয়ায় নিখোঁজের ১২ ঘণ্টা পর এক বাবুর্চির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত জেলে বাবুর্চির নাম সুলতান আহামদ (৬৫)। আজ মঙ্গলবার (২১ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার মহেশখালী বদরখালী নৌ চ্যানেলের জেটিঘাট এলাকা থেকে স্থানীয় নৌ পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে। বিষয়টি ধামাচাপা দিতে চেষ্টা করলে বিকালের দিকে বিষয়টি গণমাধ্যমের নজরে আসে।

এর আগে গতকাল সোমবার (২০ জুলাই) রাত সাড়ে ৯টার দিকে মাছ ধরার বড় ট্রলার থেকে ডিঙ্গি নৌকা দিয়ে নদী পার হওয়ার সময় পানিতে তলিয়ে গিয়ে নিখোঁজ হন বাবুর্চি সুলতান আহমদ। নিহত সুলতান আহামদ পার্বত্যজেলা বান্দরবানের লামা উপজেলা হায়দারনাশি দক্ষিণপাড়া এলাকার মরহুম কালা মিয়ার ছেলে। তিনি এমবি ভাই ভাই নামে একটি মাছ ধরার ট্রলারে এক বছরের জন্য বাবুর্চি হিসেবে কাজ করার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন।

বদরখালী নৌ পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাসির উদ্দিন বলেন, নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার সময় ঘনিয়ে আসায় কিছু ট্রলার সাগরে মাছ ধরতে যাওয়ার জন্য বদরখালী জেটিঘাট এলাকায় নোঙ্গর করে জেলেরা আগাম প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে জেটিঘাট এলাকায় নোঙ্গর করা এমবি ভাই ভাই নামে একটি ট্রলার থেকে নেমে ছোট ডিঙ্গি নৌকা নিয়ে নদী পার হচ্ছিলেন জেলে বাবুর্চি সুলতান আহামদ। এ সময় হঠাৎ ঢেউয়ের তোড়ে ডিঙ্গি নৌকাটি পানিতে তলিয়ে গিয়ে যায়। এতে সুলতান আহমদ নিখোঁজ হন। বিষয়টি বোট মালিকদের পক্ষ থেকে স্থানীয় নৌ পুলিশ ফাঁড়িতে জানানো হলে সাথে সাথে নিখোঁজ জেলে বাবুর্চিকে উদ্ধারে জেটিঘাট এলাকায় নদীতে অভিযান চালানো হয়। গভীর রাত পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চালানোর পরও ওই জেলে বাবুর্চির কোন সন্ধান মেলেনি। আজ মঙ্গলবার সকালে আবারো উদ্ধার অভিযান চালানোর পর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নিখোঁজ জেলে বাবুর্চি সুলতান আহমদের লাশ উদ্ধার করা হয়।

এসআই নাসির উদ্দিন আরও বলেন, নিহত সুলতান আহমদের স্বজনরা ময়নাতদন্ত ছাড়া মরদেহ দাফন করার জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করেছেন। এ ব্যাপারে অনুমতি পেলে জেলে তার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। তা না হলে আগামীকাল বুধবার (২২ জুলাই) সকালে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে। বর্তমানে তার লাশ সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি শেষে বদরখালী নৌ পুলিশ ফাঁড়িতে রয়েছে।

পূর্বকোণ/হোবাইব-আরপি