চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

দখলদারদের খুঁটির জোর কোথায়?

দারুল ফজল মার্কেটে নালার উপর দোকান

ইফতেখারুল ইসলাম

১৫ জুলাই, ২০২০ | ২:৫৬ অপরাহ্ণ

নগরীর দারুল ফজল মার্কেটস্থ চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভবনটির পশ্চিম পাশে নালা দখল করে নির্মাণ করা হয়েছে স্থায়ী দোকান। যার কারণে গত রবিবার রাতের বর্ষণেও মূল ভবনের প্রবেশ পথ পানিতে ডুবে ছিল। পুরো বর্ষা মৌসুমে সেখানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করে নালা দখলমুক্ত করতে স্বয়ং শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল জেলা প্রশাসনকে সুপারিশ করেছেন। সুপারিশ করেছে নগর আওয়ামী লীগও। তার প্রেক্ষিতে অবৈধ দখলদার উচ্ছেদে জেলা প্রশাসন উচ্ছেদ নোটিশও দিয়েছেন। কিন্তু সাত মাসেও তা কার্যকর হয়নি। নেতাকর্মীদের প্রশ্ন অবৈধ দখলদারদের খুঁটির জোর কোথায়?

নগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ পূর্বকোণকে বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ চট্টগ্রাম মহানগর শাখার অফিসটি ঘিরে একটি চক্র গড়ে উঠেছে। যারা অফিসের পাশের নালা দখল করে দোকান নির্মাণ করেছে। একারণে পানি চলাচল বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। একটু বৃষ্টি হলেই অফিসের প্রবেশ পথে পানি জমে যায়। অথচ নালার উপর কোন ধরনের স্থাপনা নির্মাণের কোন নিয়ম নেই। দোকানগুলো সম্পূর্ণ অবৈধ। এ বিষয়ে তিনি জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা গেছে, দারুল ফজল মার্কেটের পশ্চিম পাশে নালার উপর রীতিমত দেয়াল তুলে দোকান নির্মাণ করা হয়েছে। পানি চলাচল করতে না পারায় আওয়ামী লীগের এই অফিসের পাশে পানি জমে থাকে। যে কারণে মশার উৎপাত থাকে সারাবছর।
এদিকে নগর আওয়ামী লীগ সূত্র জানিয়েছে, অবৈধ দখলদার উচ্ছেদে গত ৭ মাস আগে উচ্ছেদ নোটিশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন। কিন্তু রহস্যজনক কারণে তা কার্যকর হয়নি। একটি চিহ্নিত দুষ্কৃতকারী এই এলাকায় বেপরোয়া হয়ে উঠে অবৈধ দখলদারিত্বের মাধ্যমে পশ্চিম পাশের নালাটি অবরুদ্ধ করে রেখেছে, সেখানে রাতের অন্ধকারে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের একাধিকবার অপচেষ্টা চালিয়েছে। তাছাড়া সন্ধ্যার পর এলাকাটি মাদকসেবীদের আড্ডা খানায় পরিণত হয়। এমনকি পার্টি অফিসের সামনে যে শেট নির্মাণ করা হয়েছে সেটিও দখল হয়ে যায়। যখন দলীয় কর্মসূচি থাকে তখন খালি করে দেয়া হয়। বিষয়টি আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে। কিন্তু কার্যকর পদক্ষেপ না নেয়ায় নগর আওয়ামী লীগ উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন জানিয়েছেন, করোনার কারণে উল্লেখিত স্থানে অভিযান পরিচালনা করা সম্ভব হয়নি। তবে সরকারি জায়গায় অবৈধ কোন দখলদার থাকতে পারবে না।

পূর্বকোণ/এএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট