চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৪

১৩ বছরে গড়া লাইব্রেরি চোখের পলকে তছনছ

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৬ অক্টোবর, ২০২৩ | ১২:৩৩ অপরাহ্ণ

বঙ্গোপসাগরের তীর ঘেঁষা এলাকা-বাঁশখালীর ছনুয়া। সেখানেই দুই হাজার বর্গফুট জমিতে ২০১০ সালে স্থানীয় তরুণরা গড়ে তোলেন একটি পাবলিক লাইব্রেরি। বইপ্রেমীদের টাকায়-শ্রমে উপকূলীয় এলাকার ‘বাতিঘর’ এ লাইব্রেরির বই সংখ্যা ৮ হাজারের বেশি। প্রতিদিন বাঁশখালীসহ আশপাশের এলাকা থেকে এসব বই পড়তে আসেন নানা বয়সী পাঠক।  তবে ১৩ বছর ধরে তিলে তিলে গড়ে তোলা ছনুয়ার ‘উপকূলীয় পাবলিক লাইব্রেরিটি’ ঘূর্ণিঝড় ‘হামুনের’ আঘাতে চোখের পলকে তছনছ হয়ে গেছে। বৃষ্টির পানিতে ভিজে নষ্ট হয়ে গেছে ২ হাজার বই। বাতাসে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে লাইব্রেরির ছাদ, পাঠাগারের হলরুম, পাঠকরুম, স্টাডি রুম ও নামাজঘর। টাকার অঙ্কে এ ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৪ লাখ টাকা।

 

লাইব্রেরি পরিচালনা কমিটির সভাপতি সাইফী আনোয়ারুল আজীম পূর্বকোণকে বলেন, মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে প্রবল বাতাসে প্রথমে লাইব্রেরির ছাদ উড়ে যায়। এরপর বৃষ্টির পানিতে ভিজে যায় অন্তত দুই হাজার বই। ঝড়ের কারণে হলরুম, পাঠকরুম, স্টাডি রুম ও নামাজঘর লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে।

 

তিনি বলেন, সাগরপাড়ের সমৃদ্ধ গণপাঠাগার ছিল এটি। মঙ্গলবারও পাঠকরা এ লাইব্রেরিতে স্বাচ্ছন্দ্যে বই পড়েছেন। তবে বুধবার সেটি খোলা আকাশের নিচে ছাদহীনঘরে পরিণত হয়েছে। এতে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন আমাদের তিনশ পাঠক সদস্য। দ্রুত লাইব্রেরি সংস্কার করা না গেলে বাকি বইগুলোও নষ্ট হয়ে যাবে।

পূর্বকোণ/পিআর 

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট