চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

স্বামীকে না পেয়ে দুই শিশুসহ স্ত্রীকে হাজতে, আদালতের জামিন

কক্সবাজার সংবাদদাতা

২২ মার্চ, ২০২৩ | ১০:৫২ অপরাহ্ণ

কক্সবাজারের ঈদগাঁওতে স্বামীর অপরাধে দুগ্ধপোষ্য সন্তানসহ এক প্রসূতি স্ত্রীকে ২৫ ঘণ্টা আটকে রেখে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। এ নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হলে একদিন পর শিশুসহ কারান্তরীণ মা ফরিদা ইয়াসমিনকে (২৫) জামিন দিয়েছেন আদালত।

 

বুধবার (২২ মার্চ) দুপুরে কক্সবাজারে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক হামিমুম তানজিন মানবিক দিক বিবেচনায় তাকে জামিন দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদি পক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ আমিনুল হক।

 

তিনি বলেন, ২ অবুঝ শিশুসহ এক মাকে পুলিশ কারাগারে পাঠিয়েছে এমন খবর দেখে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এই মামলায় যুক্ত হয়। আজ বিজ্ঞ আদালতে জামিনের আবেদন করি। আদালত ফরিদা ইয়াসমিনকে জামিন দিয়েছেন।

 

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে- ঈদগাঁও উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নের পূর্ব ফরাজীপাড়া এলাকায় প্রতিবেশী মৃত নজীর আহমেদের ছেলে শাহজাহান ও মৃত আবু শামার ছেলে হারুন অর রশীদের মধ্যে নলকূপের পানি চলাচল নিয়ে বাকবিতণ্ডা হয়। এ সময় শাহাজাহান হারুন অর রশীদকে নেল-কাটার দিয়ে আঘাত করলে হারুন আহত হয়।

 

ঘটনার পরপরই কোনো অভিযোগ ছাড়াই ঈদগাঁও থানার এসআই গিয়াস উদ্দিন ফোর্স নিয়ে গত সোমবার সকালে শাহজাহানের বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় শাহজাহানকে না পেয়ে তার স্ত্রী ফরিদা ইয়াসমিন, দুগ্ধজাত একশিশু এবং দুইবছরের আরেক শিশুকে থানায় নিয়ে আসে। হাজতে মা ও দুই শিশুকে আটকে রাখার ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে গেলে তোলপাড় শুরু হয়। আটকের পরদিন মঙ্গলবার দুপুরে গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাদের কারাগারে পাঠায় পুলিশ। এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।

 

জালালাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইমরুল হাসান রাশেদ জানান, ঘটনাটি মীমাংসাযোগ্য। পুলিশ কোনো অভিযোগ ছাড়াই অতিরঞ্জিত করে নিরীহ স্ত্রী ও নিষ্পাপ দুই শিশুকে বেআইনিভাবে থানায় নিয়ে যায়। এটি অমানবিক।

 

এ বিষয়ে ঈদগাঁও থানার উপপরিদর্শক (এসআই) গিয়াস উদ্দিন বলেন, ‘মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত শাহজাহানের স্ত্রীকে আটক করে থানায় আনা হয়। পরে ভুক্তভোগী হারুন অর রশীদের পরিবার মামলা করলে সে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়।’

 

ঈদগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম কবির বলেন, এজাহারের ভিত্তিতে তাদের আটক করা হয়। বাচ্চাদের বিষয়টি মানবিক বিবেচনায় রাখা হয়েছিল।

 

 

পূর্বকোণ/জেইউ/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট