রোহিঙ্গা ক্যাম্পে র্যাবের অভিযানে গ্রেপ্তার জঙ্গি সংগঠন ‘জামায়াতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্কিয়ার’ দুই নেতার তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে বান্দরবানের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক এএসএম এমরান তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
তারা হলেন- জামায়াতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্কিয়ার সামরিক শাখার প্রধান রণবীর ও তার সহযোগী বোমা বিশেষজ্ঞ আবুল বাসার মৃধা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে আদালত পুলিশের পরিদর্শক আব্দুল মজিদ বলেন, ‘সন্ত্রাস ও রাষ্ট্রদোহী মামলায় সাত জঙ্গির সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। এ সময় রণবীর ও আবুল বাসারের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিচারক। বাকিদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।’
গত ২৩ জানুয়ারি কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার কুতুপালং ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকায় জঙ্গিদের সঙ্গে র্যাবের গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। সেখান থেকে রণবীর ও তার সহযোগী আবুল বাসারকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে দেশি-বিদেশি অস্ত্র এবং গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়। ২৪ জানুয়ারি বান্দরবান চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাদের তোলা হলে বিচারক কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে বান্দরবান থেকে তাদের আরও পাঁচ সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস ও রাষ্ট্রদোহী মামলা করা হয়। ওই মামলায় রণবীর, আবুল বাসার, নিজাম উদ্দীন, মো. সাদিকুর রহমান, সালেহ আহমদ, মো. ইমরান বিন রহমান, বায়েজিদ ইসলামসহ সাতজনকে আদালতে নিয়ে সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। এরই পরিপ্রেক্ষিতে রণবীর ও আবুল বাসারের রিমান্ড মঞ্জুর করে বাকিদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক।
নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) টান্টু সাহা বলেন, ‘অভিযানস্থল কুতুপালং হলেও অস্ত্র উদ্ধার এবং জঙ্গি সংগঠনের সদস্যদের নাইক্ষ্যংছড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাই মামলাটি নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় করা হয়েছে। ওই মামলায় দুই রণবীর ও আবুল বাসারের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন বিচারক।’
পূর্বকোণ/এএইচ