ক্রীড়ায় যে কোন লিগ বা টুর্নামেন্ট-এ আকর্ষণের কেন্দ্রে থাকে শিরোপা। বিশ্বকাপের মতো মেগা ইভেন্টে এই ট্রফিটির জন্য সবার আগ্রহ থাকে আকাশচুম্বি। যারা খেলবেন তারাতো বটেই, সাধারণ দর্শকদেরও ইচ্ছা হয় সোনালি কাপটি ছুঁয়ে দেখার। কাতার আসরে শুধু এই সোনালি ট্রফিই নয়, থাকছে অর্থকড়ি ছাড়াও আরও কয়েকটি পুরস্কার/ট্রফি। তবে মানতেই হবে আগ্রহের কেন্দ্রে স্বর্ণরঙা ট্রফিটি। ফিফা বিশ্বকাপের শুরুর সময় থেকেই সোনালি ট্রফিটির প্রচলন।
এছাড়া ১৯৩০ সালে প্রচলন গোল্ডেন বুটের। এ ছাড়াও গোল্ডেন বল, গোল্ডেন গ্লাভস, শ্রেষ্ঠ উদীয়মান খেলোয়াড়, ফেয়ার প্লে ট্রফি ও ম্যান অব দ্য ম্যাচ ট্রফিরও আবির্ভাব ঘটে পরবর্তী সময়ে। বিশ্বকাপ আসরজুড়ে সর্বোচ্চ গোলদাতার জন্য ফিফার পক্ষ থেকে আয়োজন করা হয় গোল্ডেন বুটের। ১৯৩০ সাল থেকে এই বুটের প্রচলন। যদিও পরবর্তী সময়ে সিলভার ও ব্রোঞ্জ বুটেরও ব্যবস্থা করা হয়। ১৯৮২ সালে প্রচলন ঘটে গোল্ডেন বলের। আসর জুড়ে নজরকাড়া পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে নির্বাচিত সেরা খেলোয়াড়কে দেয়া হয় অ্যাডিডাস গোল্ডেন বল।
এছাড়াও সেরা গোলরক্ষকের জন্য রয়েছে গোল্ডেন গ্লাভসের পুরস্কার। ১৯৯৪ সালে এই পুরস্কারের নাম রাখা হয় ‘লেভ ইয়াসিন অ্যাওয়ার্ড। পরে ২০১০ সালে নাম বদলে এর নামকরণ করা হয় গোল্ডেন গ্লাভস অ্যাওয়ার্ড। ২০০৬ সাল থেকে চালু হয় অনূর্ধ্ব ২১ বয়সী সেরা খেলোয়াড়কে শ্রেষ্ঠ উদীয়মান খেলোয়াড়ের পুরস্কার। বিশ্বকাপের পুরো সময়ে মার্জিত ফুটবল খেলে দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠা খেলোয়াড়দের দেয়া হয় ফেয়ার প্লে ট্রফি। এ ছাড়াও প্রতি ম্যাচে সেরা পারফর্ম করা খেলোয়াড়দের দেয়া হয় ম্যান অব দ্য ম্যাচ ট্রফি।
পূর্বকোণ/আর