চট্টগ্রাম সোমবার, ০৬ মে, ২০২৪

সর্বশেষ:

শীত সহ্য করতে প্রোটিন খান

মুহাম্মাদ সজল

১৬ জানুয়ারি, ২০২৪ | ৬:০৪ অপরাহ্ণ

শীত বলতে যে আবহাওয়াটা সেটা হল দিনেরবেলায় ঘণ্টাখানেক জোরেশোরে হাটার/ক্রিকেট খেলার পরেও গা গরম না হওয়া আবহাওয়া। এই আবহাওয়া আমি একাধিকবার পেয়েছি সিলেটে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়, বগুড়ায়, নীলফামারীতে এবং চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে ২০০৩, ২০০৮, ২০১৩ ও ২০১৯ সালের ঢাকায়।
এর বাইরে, চিলিং টেম্পারেচার যেটা আছে সেটা হল দশ থেকে পনেরো ডিগ্রি সেলসিয়াস, এটাকে শীত বলে না, এটা বসন্ত। এই ওয়েদারে গায়ে একটা পাতলা সোয়েটারের সাথে একটা শার্ট পরে কিছুক্ষণ হাটলেই শরীর নরমাল হয়ে যাওয়া উচিত, পারফেক্ট স্প্রিং ওয়েদার। এর উপরে তাপমাত্রা উঠলে সেটা পিউর ইংলিশ/ডেনিশ সামার।

 

বস্তুত, উত্তরাঞ্চল-সিলেট-কুমিল্লা বাদে বাংলাদেশের শহরাঞ্চলে প্রায় কখনোই শীত বলতে যা বোঝায় তা পড়ে না। এখানকার মানুষ চিলিং ওয়েদারেই কাইমাই করে যে একটা হইচই বাধায়ে দেয় এর মূল কারণ হল অপুষ্টি এবং অলসতা। শরীরে যথেষ্ট আয়রন, ভিটামিন ডি না থাকায় শরীর দরকার অনুপাতে হিট তৈরি করতে পারে না এবং শারীরিক পরিশ্রমে অনীহা তৈরি হয়। এছাড়া ডায়েটে কোয়ালিটি প্রোটিন ও ফ্যাটের অভাব তো আছেই। এ কারণে উপভোগ করার মত তাপমাত্রাতেও মানুষ অহেতুক শীতে কাপে এবং গোসল না করে খাচ্চরের জিন্দেগী গুজার করে।

 

ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি যথেষ্ট কাপড় চোপড় ও শারীরিক সক্ষমতা থাকলে দশ ডিগ্রির নিচের রৌদ্রজ্জ্বল আবহাওয়া অসাধারণ আবহাওয়া। অন্তত ৩৫ ডিগ্রির হিউমিড গরমের চেয়ে হাজারগুণে ভাল।

 

শীত সহ্য করতে চাইলে ভিটামিন ডি নেন, শারীরিক পরিশ্রম করেন, প্রোটিন খান। যাদের থাইরয়েডের সমস্যা, তাদের জন্য শীত ঋতু যম। নারীদের অনেকের মধ্যেই দেখা যায়, সারারাতে তাদের হাত পা গরম হয় না। আপনাদের প্রয়োজন বাড়তি প্রোটিন, এবং প্রয়োজনে থাইরয়েড মেডিকেশান ও মডারেট কার্ব ডায়েট।

 

লেখক: ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশনিস্ট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

 

পূর্বকোণ/জেইউ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট