চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৮ জুলাই, ২০২৫

সর্বশেষ:

অনলাইন জুয়া বন্ধে হচ্ছে নতুন আইন
ফাইল ছবি

অনলাইন জুয়া বন্ধে হচ্ছে নতুন আইন

অনলাইন ডেস্ক

২৩ জুন, ২০২৫ | ২:০৭ অপরাহ্ণ

অফলাইন ও অনলাইনে জুয়া খেলাকে নিয়ন্ত্রণ করতে নতুন অধ্যাদেশের খসড়া চূড়ান্ত করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। ফুটবল, ক্রিকেট, কাবাডি, নৌকাবাইচের মতো অনুমোদিত খেলায় আর্থিক ঝুঁকি তৈরি হলে সেগুলোকে জুয়া হিসেবে গণ্য করা হবে। এ জন্য দুই বছর কারাদণ্ড, ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হবে। জুয়া নিয়ে ফেসবুকে প্রচার করলেও দেওয়া হবে জেল-জরিমানা।

 

আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিং (যাচাই) শেষে জুয়া প্রতিরোধ অধ্যাদেশের খসড়া পাসের জন্য উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে উত্থাপন করা হবে।

 

সূত্র জানায়, ২০১৮ সালের জেলা প্রশাসক সম্মেলনে ‘বঙ্গীয় প্রকাশ্য জুয়া আইন, ১৮৬৭’ সংশোধনের সিদ্ধান্ত হয়। পরে এই আইন হালনাগাদ করে নতুন আইন করতে জননিরাপত্তা বিভাগ ছয় সদস্যের কমিটি গঠন করে জুয়া প্রতিরোধ আইনের খসড়া করে। খসড়ার ওপর ২০টি সুপারিশ দেয় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এসব সুপারিশের আলোকে জননিরাপত্তা বিভাগ খসড়াটি পরিমার্জন করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের আন্তমন্ত্রণালয় কমিটিতে পাঠায়। এই কমিটি গত ২১ এপ্রিল পর্যালোচনা সভা করে খসড়াটি চূড়ান্ত করে ভেটিংয়ের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে।

 

দূরবর্তী ও অনলাইন জুয়ার বিষয়ে খসড়ায় বলা হয়েছে, ইন্টারনেট, টেলিফোন, টেলিভিশন, রেডিও বা যোগাযোগের সুবিধার্থে অন্য যেকোনো ধরনের ইলেকট্রনিক বা অন্যান্য প্রযুক্তির দূরবর্তী যোগাযোগ মাধ্যমে কোনো ব্যক্তি জুয়ায় অংশগ্রহণ করলে এবং কাউকে এসবে অংশ নিতে প্রলুব্ধ বা সহযোগিতা করলে তা অপরাধ হবে। অনলাইন বেটিং অ্যাপস ও অনলাইন বেটিং সাইট ব্যবহার করলেও অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে।

 

বাজি বা পণকে জুয়া হিসেবে গণ্য করে খসড়ায় বলা হয়েছে, যেকোনো খেলা বা কোনো বিষয়ের ফল সম্পর্কে আগে থেকে অভিমত জ্ঞাপন করে প্রকাশ্য, অপ্রকাশ্য বা প্রযুক্তির মাধ্যমে অর্থ, পণ্য বা স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির ওপর বাজি ধরলে, তা অপরাধ হয়েছে গণ্য হবে। এ জন্য তিন বছর জেল, ৫ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড দেওয়া হবে। কেউ বাজিকর হিসেবে কাজ করলে দুই বছর কারাদণ্ড বা ২ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড দেওয়া হবে। পাতানো খেলার জন্য তিন বছর জেল, ৫ লাখ টাকা জরিমানা এবং স্পট ফিক্সিং করলে দুই বছরের জেল, ২ লাখ টাকা জরিমানার প্রস্তাব করা হয়েছে।

 

খসড়ায় বলা হয়েছে, যদি কোনো বাংলাদেশি নাগরিক বিদেশে বসে এই অধ্যাদেশের অধীনে অপরাধ করেন, তিনি অপরাধটি বাংলাদেশে করেছেন ধরে নিয়ে তাঁকে সাজা দেওয়া হবে। কোনো বিদেশি নাগরিক বাংলাদেশে অবস্থিত কোনো ডিভাইস বা অনলাইনের সাহায্যে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এই অধ্যাদেশের অধীনে অপরাধ করলে তাঁকেও সাজা দেওয়া হবে।

 

পূর্বকোণ/ইবনুর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট