চট্টগ্রাম সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

সর্বশেষ:

যেখানে সেখানে বর্জ্য ফেললেই জরিমানা করা হবে : চসিক মেয়র

নিজস্ব প্রতিবেদক

১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ | ২:৪০ অপরাহ্ণ

ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও আবাসিক ভবনগুলো যেখানে সেখানে বর্জ্য ফেললে জরিমানা করার ঘোষণা দিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।

 

বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) নগরীর বহদ্দারহাট পুলিশ বক্সের পাশে মাসব্যাপী শুষ্ক মৌসুমে খালের মাটি উত্তোলন কার্যক্রমের উদ্বোধনকালে তিনি এ ঘোষণা দেন।

 

মেয়র বলেন, জলাবদ্ধতা ঠেকাতে আমরা শুষ্ক মৌসুমে খাল ও নালা থেকে মাটি তুলছি। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে চাপ দিচ্ছি যাতে জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের আওতায় থাকা খালগুলোর মাটি তোলা হয়। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে নগরে পানি জমলেও দ্রুততম সময়ে সেই পানি যাতে অপসারিত হয়, সেটিই আমাদের লক্ষ্য। তবে কোনো পদক্ষেপই সফল হবে না, যদি না জনগণ খাল ও নালায় প্লাস্টিক-পলিথিন ফেলা বন্ধ না করে।

 

তিনি বলেন, আসলে এ শহর জনবহুল। কারণ এটা বন্দরনগরী। এখানে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ আসে। এ শহর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা চলমান প্রক্রিয়া। মাসব্যাপী বিশেষ কর্মসূচি নিয়েছি। জনসাধারণকে সচেতন করতে লিফলেট দিচ্ছি। মাইকিং করছি। সতর্ক করছি। এরপর যার সামনে ময়লা দেখবো তাকে জরিমানা করা হবে। আজ থেকে সরাসরি অভিযান। যে ভবন থেকে ময়লা ফেলবে সাদা পোশাকে চসিকের কর্মীরা তা ভিডিও করবো, ভবন মালিককে ধরবো। জরিমানা করবো।

 

মেয়র বলেন, আমরা লিফলেট বিতরণ করেছি, পত্রিকায় গণবিজ্ঞপ্তিও দিচ্ছি। আমরা চাচ্ছি জনগণকে সচেতন করতে, সম্পৃক্ত করতে। এ মাস থেকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও আবাসিক ভবনগুলো যত্রতত্র বর্জ্য ছড়ালে আমরা জরিমানা করা শুরু করব। চসিকের পরিচ্ছন্ন বিভাগের কিছু কর্মচারীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে যারা খাল-নালায় ময়লা ফেলে তাদের চিহ্নিত করতে। এরপর আমাদের ম্যাজিস্ট্রেটরা দোষীদের বিরুদ্ধে জরিমানাসহ আইনানুগ ব্যবস্থা নেবেন।

 

জলাবদ্ধতা কমাতে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে জানিয়ে মেয়র বলেন, সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আমরা বসেছি। সবাইকে নিয়ে নালা-খাল ও ফুটপাতের ওপর অবৈধভাবে যেসব দোকান, বাড়ি করা হয়েছে সেগুলোও আমরা ভেঙে দেব।

 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন চসিকের কাউন্সিলর এম আশরাফুল আলম, এসরারুল হক, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কমান্ডার লতিফুল হক কাজমি, প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক ও নির্বাহী প্রকৌশলী তৌহিদুল ইসলাম।

পূর্বকোণ/পিআর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট