চট্টগ্রাম শনিবার, ০৪ মে, ২০২৪

সর্বশেষ:

খন্দকার মোশতাক রাষ্ট্রপতি হয়েই বাস্তবায়ন শুরু করেন নীলনকশার প্রেসক্রিপশন

নিজস্ব প্রতিবেদক

৭ আগস্ট, ২০২৩ | ১:১৫ অপরাহ্ণ

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবার হত্যার পরপর তৎকালীন বাণিজ্যমন্ত্রী খন্দকার মোশতাক আহমেদ রাতারাতি রাষ্ট্রপতি হয়ে যান। ক্ষমতাসীন হয়েই ঘাতকদের প্রেসক্রিপশন মোতাবেক একের পর এক নির্দেশনা জারি করতে থাকেন। এর সবই ছিল নীলনকশার অংশ।

 

রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও সংবিধান বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আমাদের সংবিধান তথা রাষ্ট্রের চরিত্রকে পাল্টে ফেলে আবারও পাকিস্তানি ধারায় ফিরিয়ে নিতে চেয়েছিল বলেই সেদিকেই তারা শুরুর দিন থেকে হাঁটতে থাকে।

 

মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীদের আগের দপ্তরই বহাল রাখা হয়। যে কয়েকজন এই ষড়যন্ত্রের অংশ হতে রাজি হননি, পরবর্তী সময়ে তাদের নানাবিধ হেনস্তা ও হত্যার মতো পরিস্থিতির শিকার হতে হয়েছিল। ১৪ আগস্ট অথবা তার আগে ফিল্ম ও গণযোগাযোগ বিভাগ থেকে মুক্তিপ্রাপ্ত প্রামাণ্যচিত্র ও সংবাদপত্র প্রত্যাহার করে তথ্য ও বেতার মন্ত্রণালয়।

 

খাদ্যশস্য ও অন্যান্য অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের সরবরাহ সচল রাখার জন্য বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ জলপরিবহন সংস্থার সব অফিসার ও কর্মচারীদের অবিলম্বে কাজে যোগদানের নির্দেশ দেয়া হয়।

 

যেসব অত্যাবশ্যকীয় সার্ভিস সংস্থাকে ২৪ ঘণ্টা চালু রাখতে হয়, সেগুলোতে কর্মরত ব্যক্তিদের কারফিউ পাস দেওয়ার বন্দোবস্ত করতে হবে, বঙ্গবন্ধু হত্যার দ্বিতীয় দিনে ঢাকার এক সরকারি ঘোষণায় এ কথা বলা হয়।

 

১৯৭৫-এর ১৬ আগস্ট নব রাষ্ট্রপতি মোশতাক আহমেদের সভাপতিত্বে মন্ত্রিপরিষদের এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ৪০ মিনিট স্থায়ী এই বৈঠকে দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হয়। মন্ত্রিপরিষদ সদস্যদের সর্বশেষ মূল্যায়ন অনুযায়ী দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতিকে সন্তোষজনক বলে বর্ণনা করা হয়।

 

মোশতাক আহমেদ তার ৮৩ দিনের কর্মকাণ্ডে জাতীয় পোশাক কেমন হবে থেকে শুরু করে সংবিধান কাটাছেঁড়া করেন।

 

পূর্বকোণ/মাহমুদ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট