চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

জিঘাংসা চরিতার্থ করতে খালেদা জিয়াকে বন্দী রেখেছে সরকার : রিজভী

নিজস্ব প্রতিবেদক

২০ মে, ২০১৯ | ৯:০৯ অপরাহ্ণ

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেছেন, আইনি প্রক্রিয়া ও প্রশাসনকে আঁচলবন্দি করে জেলে অমানবিক কায়দায় তিলে তিলে কষ্ট দিয়ে খালেদা জিয়াকে প্রাণনাশের নীলনকশা বাস্তবায়নের চূড়ান্ত পর্যায়ে উপনীত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

আজ সোমবার (২০) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ তোলেন। রিজভী অভিযোগ করেন, খালেদা জিয়াকে শুধু প্রতিহিংসা ও জিঘাংসা চরিতার্থ করতে বন্দী রেখেছেন বর্তমান সরকারপ্রধান। তিনি ঘোষণা দিয়েই তাকে আজীবন জেলে রাখার প্রতিজ্ঞা বাস্তবায়ন করছেন। যা বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ জেনে গেছে। আইনি প্রক্রিয়া ও প্রশাসনকে আঁচলবন্দি করে জেলে অমানবিক কায়দায় তিলে তিলে কষ্ট দিয়ে তাকে প্রাণনাশের নীলনকশা বাস্তবায়নের চূড়ান্ত পর্যায়ে উপনীত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

রিজভী জানান, গত চারদিন ধরে কোনো রকমে জাউ ভাত খেয়ে বেঁচে আছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তার মুখে ঘা হয়ে ফুলে গেছে। জিহ্বা নাড়াতে পারছেন না। তিনি শয্যাশায়ী। এই রমজানে জেলে তার অবস্থা বিপজ্জনক পর্যায়ে উপনীত হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, এডভোকেট আহমেদ আযম খান, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ প্রমুখ। রিজভী আরো অভিযোগ করেন, অন্যায়ভাবে ‘গণতন্ত্রের মা’ খালেদা জিয়াকে বন্দি করে গণতন্ত্রকে চূড়ান্তভাবে সমাহিত করেছে এই সরকার। গণতন্ত্রের এই অকালপ্রয়াণে শোক জানাতেও মানুষ ভয় পাচ্ছে। কারণ গুম, খুন, বিচারবহির্ভূত হত্যার রক্তপাতের মাধ্যমে যে পিশাচের রাজত্ব কায়েম হয়েছে, তাতে মানুষ শঙ্কিত।

রিজভী বলেন, ‘দেশ যে দুর্নীতিতে ছেয়ে গেছে তার প্রমাণ ব্যাংক-বীমা, কয়লা-পাথর, শেয়ার মার্কেট গলধকরণের পর এখন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে সাগরচুরির দুর্নীতির খবরে বিস্মিত দেশবাসী। উন্নয়নের কথা বলে রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষ বাস্তবায়িত করা হচ্ছে মহাদুর্নীতির ওপর ভর করে।’

তিনি বলেন, ‘রূপপুর আনবিক প্রকল্পে বালিশ-কেটলিসহ প্রকল্পের বিভিন্ন সরঞ্জামাদি কেনার মহাদুর্নীতির খবরে দেশজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। প্রকল্পে কর্মরত মালি-ড্রাইভারদের বেতন লাখ টাকার কাছাকাছি, যা শুধু নজীরবিহীনই নয়, এটি একটি জাহাজমার্কা দুর্নীতিরই দৃষ্টান্ত। এখানে হাজার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির খবরে দুদকের কোনো তৎপরতা নেই। কারণ দুদক বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের দমন এবং ক্ষমতাসীনদের দুর্নীতি মোছার যন্ত্র হিসেবে কাজ করে আসছে।’

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট