চট্টগ্রাম বুধবার, ০৮ মে, ২০২৪

সর্বশেষ:

ইফতারিতে জিলাপি না হলে চলেই না ভোজনরসিকদের

নামেও আছে বাহার

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৩ মে, ২০১৯ | ২:২৮ পূর্বাহ্ণ

চনা পিঁয়াজুর সাথে জিলাপির মিশেল ইফতারিতে এনে দেয় ভিন্ন স্বাদ। ছোলা, মুড়ি, পিঁয়াজু, চপের সাথে জিলাপির মিশ্রনে খাবারে যোগ হয় ভিন্ন মাত্রা। আর মুখে বাড়ায় রুচি। জিলাপি বাংলাদেশের জনপ্রিয় মিষ্টি জাতীয় খাবার। রমজানে ইফতারিতে প্রায় সবার কাছেই খুব জনপ্রিয় খাবার এটি। ভোজনরসিকদের কাছে প্রিয় বিভিন্ন প্রকার জিলাপি। তাই বাজারে বিক্রেতারা জিলাপিতে এনেছে ভিন্নতা। শাহী জিলাপি, রেশমী জিলাপি, লাচ্ছি জিলাপি, জিরা জিলাপি, হাজারী জিলাপি, ছোট জিলাপি ও বড় জিলাপি নামে বিভিন্ন

প্রকার জিলাপি। সাধারণভাবে বলা হয়ে থাকে, হিন্দি জলেবি বা জিলেবি থেকে বাংলায় জিলাপি হয়েছে। কথ্য ভাষায় জিলিপি বলা হয়। মধ্যযুগের ভারতে এটা ‘জলভেল্লিকা’ ও ‘কুলিকা’ নামে পরিচিত ছিল। মুসলিম শাসন শুরু হওয়ার পর থেকে এটা ধীরে ধীরে জলেবি, জিলেবি নাম পায়। আর এ জলেবি ও জিলেবি থেকে পরে বাংলায় জিলাপি, জিলেপি শব্দ দুটি এসেছে। মধ্যপ্রাচ্যে এটা সামগ্রিকভাবে জলেবিয়া নামে পরিচিত। মাসকলাই ডালের চূর্ণ ও ময়দার মধ্যে সামান্য খামির মিশিয়ে ফুটন্ত ঘি বা তৈলের মধ্যে কুলাকারে প্যাঁচ দিয়ে মিঠাই বা চিনির রসের মধ্যে ডুবিয়ে তৈরি করা হয় এটি। রমজান উপলক্ষে নগরীর বড়-ছোট প্রায় সব রেস্টুরেন্টে পাওয়া যাচ্ছে। বাজারে সকল শ্রেণির ক্রেতার দৃষ্টি আকর্ষণ করছে বিভিন্ন প্রকার এই জিলাপি। কেজি ১০০ থেকে সাড়ে ৪শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে এটি। নগরীর জি ই সি মোড় এলাকায় অবস্থিত হ্যান্ডি, কেন্ডি, জামান হোটেল, বাসমতি, সাদিয়া‘স কিচেন ও সানমার, পেনিনসুলা, চকবাজারে জামান, সবুজ, , কাজির দেউড়ি ও লালখানবাজার এলাকায় আছে দম ফুঁক, পিটস্টপে, মেরিডিয়ানে, রেড়চিলি, সাকুরা, রেড়িসন ব্লু, মেজ্জান হাইলে আইয়ুন, বীর চট্টলা, বহদ্দারহাট কাশবন রেস্টুরেন্টে পাওয়া যাচ্ছে এসব জিলাপি। পাশাপাশি দেখা যাচ্ছে কিছু ভাসমান ইফতারির দোকানও বসেছে রমজান উপলক্ষে। ইফতার বাজার, ইফতার জোন, ইফতার গ্যালারি ও ইফতার সেন্টার নামে বিভিন্ন ভাসমান ইফতারির দোকান। এসব দোকানগুলোতে প্রতি কেজি ইফতারি ১২০-৩০০ টাকায় বিক্রি করছে। চকবাজারের সবুজ হোটেলের রেশমী জিলাপি কেজি ৩০০ টাকা, জিইসি মোড়ের জামান হোটেলের শাহী ও রেশমী জিলাপি ৩০০ ও ২৮০ টাকায় বিক্রি করছে। কাজির দেউড়ি সিজলে রেশমী ৩০০, শাহী ২৫০, জিরা ৩১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সাকুরা কাবাব হাউসে ছোট জিলাপি ১৫০, বড় জিলাপি ১৩০ ও রেশমী ২৮০ টাকা। জিইসির মেরিডিয়ানে জিলাপি কিনতে আসেন হিমেল চৌধুরী। তিনি বলেন, এখানে বিভিন্ন ধরনের জিলাপি পাওয়া যায়। জিরা, শাহী, চিকেন, রেশমী জিরাপি। ইফতারে এটি আমার খুব প্রিয় খাবার। তাই আমি এখান থেকে প্রতিদিন কিনে থাকি। এ বিষয়ে দোকানিরা বলেন, ইফতারিতে জিলাপির চাহিদা অনেক।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট