চট্টগ্রাম শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

শিরায় পুশ করা একটি প্রতিষ্ঠানের স্যালাইনে ‘জীবাণু’ মিলল মা-শিশু ও ­জেনারেল হাসপাতালের ল্যাবে

৩ মৃত্যুর কারণ স্যালাইনে জীবাণু!

ইমাম হোসাইন রাজু

২৬ মার্চ, ২০২৪ | ২:০১ অপরাহ্ণ

রোগীদের শরীরে পুশ করা একটি প্রতিষ্ঠানের সরবরাহকৃত স্যালাইনের মধ্যে ‘জীবাণু’র (স্ট্যাফিলোকক্কাস অরিয়াস) অস্বিত্ব পাওয়া গেছে। চট্টগ্রাম মা-শিশু ও জেনারেল হাসপাতালের ল্যাবে পরীক্ষায় স্যালাইনের মধ্যে পাওয়া এই জীবাণুর খবরে ইতোমধ্যে স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্টদের মধ্যে তোলপাড় শুরু হয়েছে। বিষয়টি অধিকতর নিশ্চিত হতে হাসপাতালের আশাপাশের বিভিন্ন ফার্মেসিতে থাকা দু’টি প্রতিষ্ঠানের সরবরাহকৃত স্যালাইনের নমুনা সংগ্রহ করেছে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর। নমুনা পরীক্ষার জন্য প্রেরণ করা হয়েছে ঢাকায় ।
জানা গেছে, গত সপ্তাহে আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে গর্ভবতী এক নারীর প্রসব পরবর্তী মৃত্যু এবং চিকিৎসাধীন দুই শিশুর মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। পরপর রোগীর মৃত্যুর ঘটনা খতিয়ে দেখতে রোগীদের শরীরে ব্যবহার করা স্যালাইনের নমুনা পরীক্ষার উদ্যোগ নেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পরবর্তীতে হাসপাতালে নিজস্ব ফার্মেসি থেকে ওই প্রতিষ্ঠানটির শিরায় পুশ করা একটি স্যালাইন সংগ্রহ করা হয়। যা হাসপাতালের ল্যাবে পরীক্ষা করা হলে তাতে ‘জীবাণু’ থাকার বিষয়টি অস্তিত্ব মেলে।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম আজাদ বলেন, ‘সম্প্রতি হাসপাতালে একাধিক মৃত্যুর ঘটনায় আমরা নিজেরাই চিন্তিত হয়ে পড়ি। সে চিন্তা থেকেই হাসপাতালের নিজস্ব ল্যাবে চিকিৎসায় ব্যবহৃত একটি প্রতিষ্ঠানের স্যালাইনের পরীক্ষার উদ্যোগ নেওয়া হয়। তাতে ডাক্তারদের কিছুটা সন্দেহ হয়। বিষয়টি অধিকতর খতিয়ে দেখতে সিভিল সার্জন ও ওষুধ প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে।’
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী বলেন, ‘ঘটনার বিষয়ে শুনেছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরকেও অবহিত করা হয়েছে। নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার পাশাপাশি বিষয়টি তদন্ত করে দেখার অনুরোধ করা হয়।’
এদিকে, গতকাল সোমবার চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের আশাপাশের ফার্মেসির দোকান থেকে দুটি প্রতিষ্ঠানের সরবরাহকৃত স্যালাইনের নমুনা সংগ্রহ করেছে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর। সংগ্রহকৃত স্যালাইনের এসব নমুনা একইদিন বিকেলে ঢাকায় ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের নিজস্ব ল্যাবে পরীক্ষার জন্য প্রেরণ করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সুলতানুল আরেফীন বলেন, ‘বিষয়টি শোনার পরই মা ও শিশু হাসপাতালের আশপাশের ফার্মেসি থেকে দুটি প্রতিষ্ঠানের একাধিক স্যালাইনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে। পরীক্ষার ফলাফল আসলে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।’

পূর্বকোণ/এএইচ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট