চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

তামাক কোম্পানির কূটকৌশল প্রতিহত করতে স্মারকলিপি

৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ | ২:৫৩ পূর্বাহ্ণ

তামাকমুক্ত চট্টগ্রাম বিনির্মাণে চসিক ও বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থার গৃহিত পদক্ষেপকে ব্যহত করে ব্যবসা প্রসারের লক্ষ্যে তামাক কোম্পানিগুলো বিভিন্ন ধরনের কূটকৌশল চালাচ্ছে অভিযোগে এ কূটকৌশল প্রতিহত করতে সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে স্থায়িত্বশীল উন্নয়নের জন্য সংগঠন ‘ইপসা’। গতকাল বুধবার বিকেলে নগরভবনে এ স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। স্মারকলিপিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে চসিকের গৃহিত উদ্যোগ ও পদক্ষেপ সর্বত্র প্রশংসিত হয়েছে। চসিক ২০১৪ সাল থেকে নিয়মিত তামাক নিয়ন্ত্রণে বাজেট বরাদ্দ রেখে আসছে। তামাক নিয়ন্ত্রণ গাইডলাইন প্রণয়ন, তামাকের বিজ্ঞাপন বন্ধে অভিযানসহ বিভিন্ন সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন ঘোষণা দিয়েছেন, ২০৪০ সালের আগেই চট্টগ্রামকে তামাকমুক্ত করা হবে। তামাকমুক্ত শহর গড়ে তোলার লক্ষ্যে চসিক ও ইপসার একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। এছাড়া সম্প্রতি মেয়র চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১০০ গজের মধ্যে তামাকজাত দ্রব্যের বিক্রয়, বিজ্ঞাপন ও প্রচারণা নিষিদ্ধে বিভিন্ন পত্রিকায় গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন।

এ কর্মসূচির পরিপ্রেক্ষিতে তামাক কোম্পানিসমূহ হীন স্বার্থ উদ্ধারে ও ব্যবসা প্রসারে কূটকৌশল পরিচালনা করছে অভিযোগ করে স্মারকলিপিতে বলা হয়, তামাক কোম্পানিগুলো চসিকের তামাকমুক্ত শহর গড়ার মহতী উদ্যোগকে টার্গেট করে সহযোগিতার নামে বিভিন্ন কূটকৌশল গ্রহণ করছে। যা সম্পূর্ণরূপে আইন বহির্ভূত কার্যক্রম। ডঐঙ ঋৎধসবড়িৎশ ঈড়হাবহঃরড়হ ড়হ ঞড়নধপপড় ঈড়হঃৎড়ষ (ঋঈঞঈ) এর আর্টিকেল ৫.৩ এর নির্দেশনা অনুযায়ী, সরকারের সঙ্গে তামাক কোম্পানির স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সংঘাত বিদ্যমান বিধায় তামাক কোম্পানির কার্যক্রমে সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অংশগ্রহণ করবে না। তামাক কোম্পানি আয়োজিত ‘সামাজিক দায়বদ্ধতা কর্মসূচি’ প্রমাণের অপকৌশল ও অপচেষ্টাকে প্রতিহত করতে সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহীকে অনুরোধ জানানো হয় স্মারকলিপিতে। -বিজ্ঞপ্তি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট