চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

স্লুইস গেটের পাম্প বসানোর কাজ শুরু কাল

জলাবদ্ধতার অভিশাপমুক্তির হাতছানি

নিজস্ব প্রতিবেদক

২ এপ্রিল, ২০২৩ | ১১:৪৭ পূর্বাহ্ণ

নগরীর আগ্রাবাদ, হালিশহর এবং মহেশখাল সংলগ্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে মহেশখালে বসছে ‘দেশের সর্ববৃহৎ’ রেগুলেটরের তিন বড় পাম্প। যে পাম্পগুলোর মাধ্যমে দ্রুত জোয়ার বা বৃষ্টির পানি অপসারণ করা হবে। প্রতিটি পাম্প এক সেকেন্ডে সাড়ে ৫ হাজার লিটার অপসারণ করতে পারবে।  ইংল্যান্ডের বেডফোর্ড কোম্পানির তৈরি এসব পাম্প বসাতে ইংল্যান্ড থেকে একটি অভিজ্ঞ টিম আজ রবিবার চট্টগ্রাম আসবেন। তারা আগামীকাল সোমবার এসব পাম্প বসানোর কাজ শুরু করবেন। প্রতিটি পাম্প বসাতে এক সপ্তাহের মত সময় লাগবে। গতকাল শনিবার বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড প্রকল্প পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. শাহ আলী এসব তথ্য জানান।

 

তিনি বলেন, মহেশখালে রেগুলেটর বসানোর কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। আমরা এখন সেখানে পাম্প বসানোর কাজ শুরু করবো। আমাদের পাম্পগুলো যেহেতু ইংল্যান্ড থেকে ক্রয় করা, তাই পাম্পগুলো বসাতে ইংল্যান্ড থেকে একটি টিম আজ রবিবার চট্টগ্রামে আসবে এবং তারা আগামীকাল সোমবার থেকে পাম্প লাগানোর কাজ শুরু করবে। প্রতিটি পাম্প লাগাতে প্রায় সাতদিন সময় লাগবে বলে তারা আমাদের জানিয়েছেন।

 

তিনি আরো বলেন, মহেশ খালের স্লুইস গেটের সাথে পাম্পের অপারেশন শুরু হলে মহেশখালের কারণে আগ্রাবাদ, হালিশহরসহ যেসব এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হতো তা আর হবে না। মহেশখালের সাথে সংযুক্ত খালসমূহ হচ্ছে- মহেশখালী খাল, রামপুর খাল, নাছির খাল, আজব বাহার, গয়নাছড়া খাল ছাড়াও আরো সেকেন্ডারি খাল রয়েছে।

 

দেশের সবচেয়ে বেশি শক্তিশালী পাম্প বসানো হচ্ছে জানিয়ে তিনি আরো বলেন, আমার জানা মতে, দেশের কোন রেগুলেটরে এমন শক্তিশালী পাম্প ব্যবহার করা হয়নি। ইংল্যান্ড থেকে আনা এই পাম্পগুলো দিয়ে প্রতি সেকেন্ডে সাড়ে ৫ হাজার লিটার পানি অপসারণ করা হবে। অন্যদিকে, রেগুলেটরের কাজ শেষ হয়েছে প্রায় এক মাস হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে আমরা গেট লাগিয়ে সেগুলো পরীক্ষামূলক চালিয়েছি। বৈদ্যুতিক সংযোগ সম্পন্ন করেছি। জেনারেটর চালু করেছি। লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. শাহ আলী বলেন, মহেশখালের স্লুইস গেটের প্রশস্ততা হচ্ছে ৫১ মিটার। সেখানে মোট ১২টি গেট রয়েছে। প্রতিটি গেটের প্রশস্ত হচ্ছে ১ দশমিক ৫ মিটার এবং গভীরতা হচ্ছে ১ দশমিক ৮ মিটার। পাম্প, গেট, নৌকা চলাচলের সময় (অতিরিক্ত পানি হলে) গেট ওঠা-নামার জন্য এবং জেনারেটর চালানোর জন্য লোকবলের প্রয়োজন রয়েছে। গত বছরের ৩১ জানুয়ারি পাঁচটি স্লুইস গেটের জন্য ২২ জন জনবল চেয়ে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনকে চিঠি দিয়েছি। কিন্তু এখনো পর্যন্ত আমরা জনবল পাইনি।

পূর্বকোণ/পিআর 

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট