চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

জন্মনিবন্ধন সেবায় চট্টগ্রামে শ্রেষ্ঠ সাধনপুর ইউনিয়ন পরিষদ

বাঁশখালী সংবাদদাতা

৬ অক্টোবর, ২০২২ | ৯:২২ অপরাহ্ণ

জন্ম কিংবা মৃত্যু। কোনো পরিবারে শিশুর জন্মে আনন্দ থাকলেও মৃত্যুতে ভর করে বেদনা। আর নিজ ইউনিয়নের বাসিন্দাদের আনন্দ-বেদনা দুটোই ভাগাভাগি করে নিচ্ছেন একজন চেয়ারম্যান। শিশুর জন্মে শুভেচ্ছা বার্তা, মৃত্যুতে পৌঁছে দিচ্ছেন শোকবার্তা। খামে করে সঙ্গে পাঠাচ্ছেন সরকারি জন্ম-মৃত্যু সনদ পাওয়ার আবেদন পত্রটিও।

জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন এবং সেবা প্রদানে এমন যুগান্তকারী উদ্যোগ গ্রহণ করে চট্টগ্রাম জেলায় শ্রেষ্ঠ ইউনিয়ন নির্বাচিত হয়েছে বাঁশখালী উপজেলার সাধনপুর ইউনিয়ন পরিষদ। এই প্রশংসার কৃতিত্ব অর্জন করেছেন নব নির্বাচিত সাধনপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সালাহউদ্দীন কামাল।

বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) দুপুরে বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবসে সাধনপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কে. এম. সালাহউদ্দীন কামাল ও সচিব নোবেল ভট্টাচার্যকে শ্রেষ্ঠত্বের স্বীকৃতি হিসেবে সম্মাননা এবং সনদপত্র প্রদান করেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. আশরাফউদ্দীন।

জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমানের সভাপতিত্বে ডিডি (এলজি) বদিউল আলমের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার ও পরিচালক-স্থানীয় সরকার ড. প্রকাশ কান্তি চৌধুরী, বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. মো. শাকাওয়াত উল্লাহ, সিভিল সার্জন ডা. মো. ইলিয়াছ চৌধুরী প্রমুখ।

সম্মাননা গ্রহণ করে সাধনপুর ইউপি চেয়ারম্যান কে.এম. সালাহউদ্দীন কামাল বলেন- কোনো কাজই সরকারের একক প্রচেষ্টায় সম্ভব নয়। সকলে সার্বিক সহযোগিতা করলে কোনো কাজই কঠিন থাকে না। কাজের স্বীকৃতি পেয়ে আমি সত্যিই আনন্দিত। এ সম্মান আমার সাধনপুর ইউনিয়নবাসীকে উৎসর্গ করলাম। জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রমে আমি টিম প্রধান হিসেবে কাজ করছি মাত্র। এ কাজে আমাকে সার্বিক নির্দেশনা ও পরামর্শ ও শ্রম দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইদুজ্জামান চৌধুরী, ইউপি সচিব, সদস্য, গ্রাম পুলিশ ও উদ্যোক্তা। আমি তাদের কাছে কৃতজ্ঞ।

চেয়ারম্যান জানান, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন নয়, ইউনিয়ন পরিষদের আওতাভুক্ত সরকারি সবধরনের সনদও চেয়ারম্যান বিনামূল্যে দিচ্ছেন ইউনিয়নবাসীকে। আর সরকারি সনদ প্রদানের ফি নিজের ব্যক্তিগত ফান্ড থেকেই পরিশোধ করছেন। অবশ্য এমন ঘোষণা তিনি নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিতেই দিয়েছিলেন। যেমন কথা তেমন কাজ। শপথ গ্রহণ শেষে দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত নানা ধরনের সনদ বিতরনের অংশ হিসেবে প্রায় তিন লক্ষ টাকা নিজ তহবিল থেকেই পরিশোধ করেছেন।

পূর্বকোণ/অনুপম/মামুন/এএইচ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট