চট্টগ্রাম রবিবার, ০৫ মে, ২০২৪

সর্বশেষ:

প্রকল্প বাস্তবায়নে ১৪ সিদ্ধান্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৭ আগস্ট, ২০২২ | ১১:৫৫ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম মহানগরীর সার্বিক জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে গৃহীত পদক্ষেপসমূহের অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় যে ১৪টি সিদ্ধান্ত আসে তা বাস্তবায়নে চিঠি পাঠিয়েছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম এমপি স্বাক্ষরিত চিঠিতে গত ৩১ জুলাই অনুষ্ঠিত সভার বিবরণী তুলে ধরে সিদ্ধান্তসমূহ জানিয়ে দেয়া হয়।

গত সভার সিদ্ধান্তসমূহ হল:

১) চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে চলমান প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সংস্থার মধ্যে সমন্বয় সাধন ও মনিটরিং এর জন্য চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারকে আহ্বায়ক করে ইতিপূর্বে গঠিত কমিটি প্রতিমাসে সভা আয়োজন করে অগ্রগতি প্রতিবেদন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠাবে।

২) ফ্লাডওয়াল ও রেগুলেটার ইত্যাদি ডিজাইনে কোন ভুল থাকলে তা সংশোধন করতে এবং সংশ্লিষ্টদের বিস্তারিতভাবে নতুন ডিজাইন সম্পর্কে অবহিত করতে হবে। নৌ চলাচলসহ জোয়ার-ভাটাকালীন খালে পানি প্রবাহের পরিমাণ বিবেচনা করে খালের প্রশস্ততার সাথে সামঞ্জস্য রেখে প্রতিটি রেগুলেটরের নকশা আলাদাভাবে পর্যালোচনা করে ডিজাইন করতে হবে।

৩) চলমান প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণের প্রস্তাব দ্রুত সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠাতে হবে।

৪) যেসব খালের তলা পাকা রয়েছে সেগুলো ভেঙে দিতে এবং খালের দুই ধারে রাস্তা নির্মাণ করতে হবে।

৫) রেগুলেটরে এম এস সিট ব্যবহারের ফলে মরিচা ধরে তা অকার্যকর হয়ে যায়। তাই সকল রেগুলেটর এফআরপি সিট বা কোনভাবেই মরিচা ধরে না এমন সিট ব্যবহার করতে হবে।

৬) প্রকল্পের শর্তানুযায়ী জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পে রেগুলেটর ও ড্রেনসহ নির্মিত অবকাঠামো প্রকল্পে শেষে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনকে দায়িত্ব নেয়ার জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করা এবং সংশ্লিষ্ট প্রকল্প হতে যন্ত্রপাতি ও জনবলের তথ্য দ্রুত সিটি কর্পোরেশনকে প্রদান করতে হবে।

৭) জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পে রেগুলেটর ও ড্রেনসহ যেসব অবকাঠামো নির্মাণ করা হচ্ছে তার মধ্যে কয়েকটির নির্মাণ কাজ শেষ হলেও পুরো প্রকল্পের কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত প্রকল্প বাস্তবায়নকারী কর্তৃপক্ষকেই তা রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে। প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার পরবর্তী ২/৩ বছর বাস্তবায়নকারী কর্তৃপক্ষ ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনকে যৌথভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে।

৮) চট্টগ্রাম মহানগরের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বিষয়ে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। প্রয়োজনে ওয়ার্ড ভিত্তিক জনবল পুনর্বিভাজন করে নিয়মিত খাল-ড্রেন পরিষ্কার করতে হবে। বর্জ্য সংগ্রহের জন্য একটি ব্যবস্থাপনা ডেভেলপ করতে হবে।

৯) প্রকল্পসমূহের সংশোধন প্রস্তাব দ্রুত অনুমোদনের ব্যবস্থা করতে হবে এবং স্ব স্ব মন্ত্রণালয় কর্তৃক পর্যাপ্ত বাজেট বরাদ্দের উদ্যোগ নিতে হবে।

১০) জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের অবকাঠামোসমূহের নির্মাণকাজ বাস্তবসম্মত ও টেকসই হতে হবে যাতে চট্টগ্রামবাসী প্রকল্পের দীর্ঘমেয়াদী সুফল ভোগ করতে পারে।

১১) খালগুলোর খননকৃত মাটি যেন পুনরায় খালে না পড়ে সেই লক্ষে দূরবর্তী কোন স্থানে ফেলার ব্যবস্থা করতে হবে।

১২) বাকলিয়া এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের ফলে ওই এলাকার বৃষ্টি/জোয়ারের পানি নিষ্কাশনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রাখতে হবে।

১৩) কর্ণফুলী নদীর নাব্যতা ও ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষে নিয়মিত ড্রেজিং করতে হবে।

১৪) চট্টগ্রাম বন্দরের মালামাল পরিবহনে সিটি কর্পোরেশনের রাস্তাঘাট ও অবকাঠামো ব্যবহার হয়। তাই বিষয়টি পর্যালোচনা করে সিটি কর্পোরেশনের আয় বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

চিঠির অনুলিপি দেয়া হয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী, ভূমিমন্ত্রী, পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী, নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী, শিক্ষা উপমন্ত্রী, মন্ত্রণালয়সমূহে সচিব, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার, পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক, সিডিএ চেয়ারম্যান, চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যান, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক, চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের।

 

পূর্বকোণ/আর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট