চট্টগ্রাম শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

কোকেন চোরাচালান মামলায় আদেশ ২ ফেব্রুয়ারি

নিজস্ব প্রতিবেদক

৫ জানুয়ারি, ২০২২ | ১০:৫৭ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রাম বন্দরে কোকেনের চালান জব্দের ঘটনায় চোরাচালান আইনে দায়ের হওয়া মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি শেষ হয়েছে। আদালত ২ ফেব্রুয়ারি এ বিষয়ে আদেশের সময় নির্ধারণ করেছেন। বুধবার (৫ জানুয়ারি) চট্টগ্রামের চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শরীফুল ইসলাম ভূঁইয়ার আদালতে ওই মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানি হয়েছে।

চট্টগ্রাম মহানগর পিপি মো. ফখরুদ্দিন চৌধুরী জানিয়েছেন, চোরাচালানের অভিযোগে বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়ের হওয়া মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানি সম্পন্ন হয়েছে। এদিন পাঁচ আসামি তাদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন করেন এবং এর শুনানি সম্পন্ন হয়। আদালত ২ ফেব্রুয়ারি অভিযোগ গঠন ও মামলা থেকে অব্যাহতির বিষয়ে আদেশের দিন রেখেছেন।

২০২০ সালের ২৯ জুন ১০ জনকে অভিযুক্ত করে বিশেষ ক্ষমতা আইনের ওই মামলায় অভিযোগপত্র জমা দিয়েছিল পুলিশ। অভিযুক্তরা হলেন— আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রামের খানজাহান আলী লিমিটেডের চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ ও তার ভাই মোস্তাক আহম্মদ, কসকো-বাংলাদেশ শিপিং লাইনসের ব্যবস্থাপক এ কে এম আজাদ, সিকিউরিটিজ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা মেহেদী আলম, সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম, আবাসন ব্যবসায়ী মোস্তফা কামাল, প্রাইম হ্যাচারির ব্যবস্থাপক গোলাম মোস্তফা সোহেল, পোশাক রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান মণ্ডল গ্রুপের বাণিজ্যিক নির্বাহী আতিকুর রহমান, লন্ডনপ্রবাসী চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের ফজলুর রহমান ও মৌলভীবাজারের বকুল মিয়া।এর মধ্যে গোলাম মোস্তফা সোহেল ও আতিকুর রহমান কারাগারে আছেন। জামিনে আছেন মেহেদী আলম, এ কে এম আজাদ, সাইফুল ইসলাম ও মোস্তফা কামাল। জামিনে গিয়ে পালিয়ে গেছেন নুর মোহাম্মদ। এছাড়া মোস্তাক আহম্মদ, ফজলুর রহমান ও বকুল মিয়া শুরু থেকেই পলাতক।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ৬ জুন চট্টগ্রাম নগর গোয়েন্দা পুলিশের তৎকালীন অতিরিক্ত উপকমিশনার এস এম তানভির আরাফাতের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কোকেন সন্দেহে চট্টগ্রাম বন্দরে সূর্যমুখী তেলের চালান জব্দ করে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর। এরপর ২৭ জুন তেলের চালানের ১০৭টি ড্রামের মধ্যে একটি ড্রামের নমুনায় কোকেন শনাক্ত হয়। 

 

পূর্বকোণ/রাজীব/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট