সরকারি চাল পাহাড়তলী বাজারে আটকের ঘটনায় এবার আদালতে মামলা করেছে পরিবহন ঠিকাদার মেসার্স সবুজ এন্ড ব্রাদার্স। এতে চাল পরিবহন মালিক, ট্রাক চালক, হেলপার ও গ্রেপ্তারকৃত চাল ব্যবসায়ীকে অভিযুক্ত করা হয়। মামলায় ৩শ বস্তা চাল আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে। ইতিপূর্বে ব্যবসায়ী বাহার মিয়াকে আসামি করে মামলা করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।
গত ২১ এপ্রিল নগরীর পাহাড়তলী বাজার থেকে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির সরকারি ১৪শ বস্তা (৭০ হাজার কেজি) চাল আটক করেছিল গোয়েন্দা পুলিশ। এতে গ্রেপ্তার করা হয় চাল ব্যবসায়ী বাহার মিয়াকে। আটককৃত এসব চাল নোয়াখালী চরভাটা এলএসডি গুদামে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু চরভাটায় না গিয়ে ওইসব চাল পাহাড়তলী বাজারে বিক্রি হয়ে যায়। গোয়েন্দা পুলিশ ১৪শ বস্তা চাল আটক করেছিল। পরিবহন ঠিকাদার তিন শ বস্তা চাল আত্মসাতের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে। বাকি ১১শ বস্তা চাল কোত্থেকে এল তা নিয়ে চলছে তদন্ত।
ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের দায়ের করা মামলায় উল্লেখ করা হয়, চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ৪৫ মেট্রিক টন চাল নোয়াখালীর চরভাটা খাদ্যগুদামে পরিবহনের দায়িত্ব পায়। চাল পরিবহনের জন্য শুভ ট্রান্সপোর্টের মালিক খোকন চন্দ্র দাশ থেকে তিনটি ট্রাক ভাড়া নেওয়া হয়। ২৪ এপ্রিল বন্দর থেকে তিনটি ট্রাক চাল নিয়ে নোয়াখালীর চরভাটায় রওনা হয়। কিন্তু দুটি ট্রাক গন্তব্যস্থল পৌঁছলেও একটি ট্রাক পৌঁছেনি। এতে ৩শ বস্তা চাল খোয়া যায়। লোভে পড়ে ১৫ মেট্রিক চাল পাহাড়তলী বাজারের ব্যবসায়ী আবদুল বাহার মিয়ার কাছে বিক্রি করে দেয়।
চাল আটকের ঘটনায় গত ২২ এপ্রিল তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে খাদ্য অধিদপ্তর। কমিটির সদস্যরা হলেন, জেলা কার্যালয়ের সহকারী খাদ্য নিয়ন্ত্রক অনিল চন্দ্র চাকমা, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (কারিগরি) রুপান্তর চাকমা এবং চলাচল ও সংরক্ষণ নিয়ন্ত্রক বিভাগের উপ নিয়ন্ত্রক সুনীল দত্ত। তিন কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার কথা ছিল। এখনো তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে পারেনি তদন্ত কমিটি।
এছাড়াও চাল পরিবহনে জড়িত তিন খাদ্য পরিবহন ঠিকাদারকে কর্মসূচি থেকে বিরত রাখার নির্দেশনা দিয়েছেন আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা। প্রতিষ্ঠানগুলো হল মেসার্স সবুজ এ- ব্রাদার্স, মেসার্স জয় কন্সট্রাকশন ও মেসার্স মাদানি কেরিয়ার্স।
খাদ্য অধিদপ্তর জানায়, ভারত থেকে আমদানি করা সরকারি চাল চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে খালাস হয়ে দেশের বিভিন্ন খাদ্য গুদামে সংরক্ষণ করা হচ্ছে।
পূর্বকোণ/এএ