চট্টগ্রাম শুক্রবার, ০৩ মে, ২০২৪

সর্বশেষ:

স্থগিতের ইঙ্গিতে থমকে গেল পৌর ও ইউপি নির্বাচনের প্রচারণা

নিজস্ব প্রতিবেদক

৩১ মার্চ, ২০২১ | ১২:২৯ অপরাহ্ণ

করোনাভাইরাসের সংক্রমণের হার বেড়ে যাওয়ায় পৌর ও ইউপি নির্বাচন স্থগিত হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। আগামী ১১ এপ্রিল বোয়ালখালী পৌরসভাসহ কক্সবাজারের টেকনাফ, চকরিয়াসহ দেশের ১১ পৌর নির্বাচনের কথা রয়েছে। একই দিন সন্দ্বীপ, মহেশখালী, কুতুবদিয়া ও টেকনাফে ২৮ ইউনিয়নসহ দেশের ৩৭১ ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

নির্বাচন স্থগিতের আশঙ্কায় গতকাল থেকে নির্বাচনী প্রচারণা ও ভোট উৎসব অনেকটা থমকে গেছে।  গত সোমবার নির্বাচন কমিশনের এক বৈঠকে নির্বাচন স্থগিতের বিষয়ে মতামত দিয়েছেন কমিশনাররা। চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান গতকাল পূর্বকোণকে বলেন, ‘আগামী

বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) নির্বাচন কমিশনের সভা রয়েছে। সেই সভায় নির্বাচনের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’ তফসিল অনুযায়ী, আগামী ১১ এপ্রিল থেকে প্রথম ধাপে ৩৭১ ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এরমধ্যে চট্টগ্রামের সন্দ্বীপের ১৩ ইউনিয়ন এবং কক্সবাজারের মহেশখালীর চার ইউনিয়ন, কুতুবদিয়ার ছয় ইউনিয়ন ও টেকনাফের ৫ ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এছাড়াও একই দিন যষ্ঠ ধাপে ১১ পৌর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

এরমধ্যে চট্টগ্রামের বোয়ালখালী পৌরসভা, কক্সবাজারের চকরিয়া ও মহেশখালী পৌর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। গত ২৫ মার্চ প্রতীক বরাদ্দের পর আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণায় নেমেছেন প্রার্থীরা। প্রচার-প্রচারণায় শুরু থেকেই স্বাস্থ্যবিধি, সামাজিক দূরত্ব ও মাস্ক পরায় নিশ্চিত করা হচ্ছে না। ঘরোয়া সভা থেকে শুরু করে প্রচারণায় প্রার্থীরা বিপুল সংখ্যক সমর্থক ও দলীয় নেতাকর্র্মীদের নিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন। অথচ করোনা মহামারী সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় রাজনৈতিক, সামাজিক ও ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান সংকুচিত করাসহ জনসমাগম এগিয়ে চলার নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

এদিকে, করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় জনসমাগম সীমিত করাসহ ১৮ নির্দেশনা জারি করেছে সরকার। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস গত সোমবার এই নির্দেশনা জারি করেন। এতে বলা হয়েছে, সকল ধরনের জনসমাগম (সামাজিক/রাজনৈতিক/ ধর্মীয়/অন্যান্য) সীমিত করতে হবে। উচ্চ সংক্রমণযুক্ত এলাকায় সকল ধরনের জনসমাগম নিষিদ্ধ করা হলো। বিয়ে ও জন্মদিনসহ যে কোনো সামাজিক অনুষ্ঠানে জনসমাগম নিরুৎসাহিত করতে হবে।

এর আগেও করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় জনসমাগম এড়িয়ে চলার নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।

দেশে করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার রেকর্ড ছিল রবিবার। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর সংক্রমণ হয়েছিল ৫০৪২ জনের দেহে। কয়েক দিন ধরে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু রেকর্ড করায় জরুরি বৈঠকে বসেন নির্বাচন কমিশনাররা।

নির্বাচন কমিশনের সভায় সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা। বৈঠকে নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, ইসি সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার, অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথসহ ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ইসির সভায় বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে সরকার ঘোষিত ১৮টি নির্দেশনা নিয়ে আলোচনা হয়। আগামী ১১ এপ্রিল অনুষ্ঠেয় সব নির্বাচন স্থগিত করার বিষয়ে কমিশনরা নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামী বৃহস্পতিবারের কমিশন সভার পর অনুষ্ঠানিকভাবে বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হবে।

পূর্বকোণ/এএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট