চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ০৯ মে, ২০২৪

সর্বশেষ:

পাঁচ প্রতিষ্ঠানের হাতে বে পাইলটিং, ক্ষুদ্ধ শিপিং এজেন্টরা

নিজস্ব প্রতিবেদক

১ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ | ৫:০৫ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রাম বন্দরে বে পাইলটিংয়ের দায়িত্ব পাঁচটি প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া হয়েছে। তালিকাভুক্ত হয়ে এসব প্রতিষ্ঠান কুতুবদিয়া থেকে বহির্নোঙর এলাকায় পাইলটিং সেবার মাশুল (জাহাজপ্রতি) দেড় হাজার ডলার চেয়েছে। এর বাইরে ভারসাম্য না আসা পর্যন্ত প্রতিদিন ৩০০ ডলার করে চেয়েছে দায়িত্বপ্রাপ্ত একটি প্রতিষ্ঠান।

নাম সর্বস্ব পাঁচটি প্রতিষ্ঠানকে নেভিগেশনাল ফ্যাসিলেটর হিসেবে তালিকাভুক্তি বাতিল চেয়ে নৌপরিবহনমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছে শিপিং এজেন্টস এসোসিয়েশন। সাথে ৬৫টি শিপিং প্রতিষ্ঠানের এজেন্টদের সাক্ষর সংযুক্ত করে (যারা বহি:নোঙরে জাহাজের কাজের সাথে যুক্ত) ৩১ জানুয়ারি এই চিঠি দেওয়া হয়।

বন্দরে বছরে দেড় হাজার জাহাজ বহির্নোঙর পণ্য খালাস করে। এর মধ্যে সাড়ে নয়মিটারের গভীরতার প্রায় এক হাজারের বেশি জাহাজ রয়েছে। সাড়ে নয় মিটারের বেশি জাহাজ বে পাইলটিংয়ের এই মাশুল গুণতে হবে। বর্তমানে সাগর থেকে জেটিতে ভিড়ানোর সময় বন্দরের পাইলটরা এই সেবা দেন। সেক্ষেত্রে বন্দর মাশুল আদায় করে।
নেভিগেশনাল বিষয়টি স্পর্শকাতর হওয়ায় এটি বন্দরের আওতায় রেখেছে। অথচ বে পাইলটিংয়ের সেবা ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বেসরকারি খাতে। যে পাঁচটি প্রতিষ্ঠানকে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে সেগুলো হল জুনের শিপিং লাইনস, আয়ার শিপিং সার্ভিসেস, বাংলাদেশ সি গোয়িং পাইলট সার্ভিস কোম্পানি, কেএমসি শিপিং ও ডিএমএসসি। শিপিং এজেন্ট হিসেবে এসব প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স থাকলেও খুব পরিচিত নয়। কোনো জাহাজ হ্যান্ডলিং করার অভিজ্ঞতা নেই এমন প্রতিষ্ঠানও রয়েছে, যদিও বন্দর তালিকাভুক্তির সময় শুধু শিপিং এজেন্টস হিসেবে লাইসেন্স থাকার শর্ত দিয়েছিলো। আবার বে পাইলটিংয়ের যাদের অভিজ্ঞতা আছে তাদেরও তালিকাভুক্তির সময় রাখা হয়নি। গুটিকয়েক প্রতিষ্ঠান যাতে অংশ নিতে পারে সেজন্য বন্দরের সাবেক পাইলট রাখার শর্ত দেওয়া হয়েছিলো।

এই বিষয়ে বাংলাদেশ শিপিং এজেন্টস এসোসিয়েশনের প্রাক্তন সহ-সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ আরিফ বলেন, শিপিং ব্যবসায়ীরা চায় না ভবিষতে জিম্মি হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে। এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট এসোসিয়েশনের সঙ্গে আলোচনা করে নিলে ভালো হয়। তাছাড়া আমাদের অতীত অভিজ্ঞতাও সুখকর নয়।

পূর্বকোণ/এএইচ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট