চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

এমবিবিএস সেজে রোগীর সঙ্গে প্রতারণা

রাউজান সংবাদদাতা

১৮ জানুয়ারি, ২০২১ | ৯:৩২ অপরাহ্ণ

রাউজানে উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) পরীক্ষায় পাশ করা এক ভুয়া এমবিবিএস চিকিৎসককে আটক করেছেন রাউজান থানা পুলিশ।

 

আটককৃত ভুয়া চিকিৎসকের নাম মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম। তিনি উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের শান্তির বাপের বাড়ির মৃত আবুল কাশেমের পুত্র।

 

সোমবার (১৮ জানুয়ারি) বিকেল ৪টায় উপজেলার পথেরহাটস্থ নোয়াপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় মার্কেট থেকে তাকে আটক করা হয়। এসময় তার চেম্বার হতে ব্যবস্থাপত্র, ভিজিটিং কার্ড জব্দ করেন।

 

এই ভুয়া চিকিৎসক স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে নোয়াপাড়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ হতে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করার কথা স্বীকার করলেও তার ব্যবহৃত ব্যবস্থাপত্র ও লিফলেটে নামের পূর্বে ‘ডা.’ পরে ‘এম.বি.বিএস.-পিজিটি, (শিশু, মেডিসিন ও সার্জারী অভিজ্ঞ) জেনারেল ফিজিশিয়ানসহ নানান পদবী উল্লেখ করেন।

 

স্থানীয় ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর সিকদার বলেন, তিনি এমবিবিএস পাশ করা চিকিৎসক না হয়েও দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে স্কুল মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় ‘নোয়াপাড়া আধুনিক খৎনা সেন্টার’ নামে চেম্বার খুলে চিকিৎসক সেজে প্রতারণা করে আসছেন। এই প্রতারণার দায়ে তিনি বেশ কয়েকবার আটক হয়েছেন।

 

শ্বাসকষ্ট রোগের জন্য চিকিৎসা নিতে উপজেলার নোয়াপাড়া গ্রামের মোকামী পাড়ার জাহানারা বেগম বলেন ‘আমি জানি তিনি ডাক্তার। তাই তার কাছে নিয়মিত চিকিৎসা করি। তিনি ৪শ’ টাকা করে ভিজিট নেন।

 

রাঙ্গুনিয়া সার্কেলের (রাউজান-রাঙ্গুনিয়া) সহকারী পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন শামীম বলেন, ‘জাহাঙ্গীর আলম নামের ব্যক্তিটি দীর্ঘদিন ধরে ভুয়া পদবী ও ডিগ্রি ব্যবহার করে প্রতারণার মাধ্যমে চিকিৎসা চালিয়ে আসছেন। সংবাদ পেয়ে পুলিশ চেম্বারে উপস্থিত হলে সে তার ব্যবস্থাপত্র, প্রচারপত্র, সাইনবোর্ডে উল্লেখ করা ডিগ্রী, পদবী গুলোর স্বপক্ষে কোন প্রয়োজনীয় সনদ ও কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। প্রতারণা দায়ে পুলিশ তাকে আটক করেন। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল হারুন বলেন ‘তার বিরুদ্ধে প্রতারণার দায়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

 

উল্লেখ্য, গত ২০১৮ সালের ২৬ এপ্রিল চিকিৎসক সেজে প্রতারণার দায়ে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শামীম হোসেন রেজার নেতৃত্বাধীন ভ্রাম্যমান আদালত দুই লাখ টাকা অর্থদন্ড প্রদান করেন।

 

পূর্বকোণ/জাহেদ-মামুন

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট