শিম চাষের এলাকা দোহাজারী। শঙ্খ তীরবর্তী দোহাজারী জামিজুরী, রায়জোয়ারা, চাগাচর, বরমা, বৈলতলী, হাশিমপুর পাহাড়ি এলাকায় চলতি মৌসুমে প্রচুর শিম চাষ হয়েছে। উপজেলায় শিমের ফলনও এবার ভালো হয়েছে। এদিকে কৃষকরা বাজারে ন্যায্য দাম পেয়ে খুশি।
উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কয়েক হেক্টর জমিতে শিম চাষের ফলন ভালো হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, প্রতি হেক্টরে ৩০ টন করে শিম উৎপাদন হবে। এখানে ল্যাইটা, বাইট্যা, পুঁটি ও ছুরি- এ চার জাতের শিম উৎপাদন হয়। তবে এদের মধ্যে ল্যাইটা শিম এখানে বেশি ফলন হয়ে থাকে। সর্বাধিক শিম উৎপাদন হয় উপজেলার শঙ্খ তীরবর্তী চন্দনাইশ ও সাতকানিয়া এলাকায়।
এছাড়াও উপজেলার পাহাড়ি এলাকায় বিভিন্ন সড়কের দুইপাশে শিম চাষ করেছেন কৃষকেরা। উপজেলার দোহাজারী রেলওয়ে মাঠে শিম বিক্রির জন্য আনার পর পাইকারি ব্যবসায়ীরা এখান থেকে কমমূল্যে কিনে ট্রাকে করে চট্টগ্রাম মহানগরসহ বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যায়। কৃষক আবুল ফয়েজ বলেন, শিম চাষ করে তারা প্রচুর লাভবান হচ্ছেন। শিম চাষে মাত্র তিন মাস সময় দিয়ে ভালো আয় করা যায়। শিম চাষ করে সংসার চালান শঙ্খ নদীর তীরবর্তী এলাকার অনেক কৃষক।
চন্দনাইশে একটি লাল, অন্যটি সবুজ-সাদা লম্বাটে জাতের শিম উৎপাদন হয়। চন্দনাইশের শিম দেশের গন্ডি ছাড়িয়ে এখন বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে। কীটনাশক বিক্রেতা চাষিদের সঠিক মাত্রাজ্ঞান না থাকার কারণেও ওষুধ অনেক সময় কাজ করে না। আবার অনেক সময় একটি ওষুধ প্রয়োগের পর নির্ধারিত সময় পর্যন্ত ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার জন্য অপেক্ষা না করে আরেকটি ওষুধ প্রয়োগের কারণে শিম ক্ষেতের ক্ষতি হয়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা স্মৃতি রানী সরকার বলেন, কৃষকরা জমিতে অতিরিক্ত কীটনাশক ব্যবহারের কারণে শিমের গুণাগুণ হ্রাস পাচ্ছে। শিমচাষিদের এ ব্যাপারে কৃষি বিভাগ থেকে পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
পূর্বকোণ/এএ