চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

আরও অপরূপ সাজে জাম্বুরি পার্ক

আরও অপরূপ সাজে জাম্বুরি পার্ক

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৬ নভেম্বর, ২০২০ | ৭:২৫ অপরাহ্ণ

বৃক্ষরাজিতে ভরপুর চারদিক। মাঠজুড়ে জায়গা করে নিয়েছে দেশি প্রজাতির হরক রকমের ফুলের গাছ। যেন ইট-পাথরের শহরে এক টুকরো সবুজের ক্যানভাস। সন্ধ্যার বাতাসে ছাতিম ফুলের মৌ মৌ গন্ধ মনকাড়ে আগত দর্শনার্থীদের। ঝলমলে আলোয় তৈরি করে দেয় আলো-আঁধারির আবহ।

বলছি, নগরীর আগ্রাবাদের জাম্বুরি পার্কের কথা। এক সময়ের পরিত্যক্ত এ মাঠটির চিত্র এখন নজরকাড়া। দিন পেরুতেই রূপ নিয়েছে আধুনিকতার ছোঁয়ায়। বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে পার্কটিতে যোগ হয়েছে দেড় হাজার দেশি প্রজাতির বৃক্ষ। শুধু জন্মবার্ষিকীই নয়, করোনা মহামারীর বিভিন্ন সময়ে আধুনিকতায় রূপ দিতে রোপণ করা হয়েছে সবমিলিয়ে ১৫ হাজার দেশি প্রজাতির বিভিন্ন জাতের ফুলের চারা। যা সবুজ চাদরে ঢেকে দিয়েছে পার্কটিকে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, জাম্বুরি পার্কটিকে দৃষ্টিনন্দন করে গড়ে তুলতে কাজ করছে গণপূর্ত বিভাগ। যেজন্য প্রতিষ্ঠার পর থেকে পার্কজুড়ে রোপণ করা হয় ১৫ হাজার প্রজাতির দেশীয় ফুল গাছ। এরমধ্যে রয়েছে, কৃষ্ণচূড়া, পলাশ, শিমুল, জারুল, কদম, বাদাম, কাঞ্চন, ছাতিম, সোনালু, রাধাচড়া, নাগেশ্বর, চাঁপা, শিউলি, টগরসহ বিভিন্ন প্রজাতির ফুলের গাছ। পার্কসহ এসব গাছ পরিচর্যার জন্য রয়েছে ১৫ জন কর্মী।

২০১৮ সালে যাত্রা শুরু করা দৃষ্টিনন্দন পার্কটিতে ছয়টি সুসজ্জিত গেট, একটি পাম্প হাউজ, একটি গণপূর্ত বৈদ্যুতিক রক্ষণাবেক্ষণ ব্লক ও ৫০ হাজার বর্গফুট আয়তনের জলাধার রয়েছে। জলাধারের পাশে রয়েছে দুটি ফোয়ারা। আছে বসার জন্য তিনটি গ্যালারি এবং আসনও।

জাম্বুরি পার্কের দেখভালের দায়িত্বে থাকা গণপূর্ত উপ-বিভাগ-৮ এর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. আহসান হাবিব পূর্বকোণকে বলেন, ‘বিভিন্ন সময়ে এসব ফুলের গাছ রোপণ করা হয়েছে। চট্টগ্রামের প্রতিটি নার্সারি ঘুরে দেশি জাতের বিভিন্ন রকমের গাছ ক্রয় করা হয়। আগামী দুই বছরের মধ্যে গাছগুলো যখন বড় হবে, তখন পার্কের সৌন্দর্য আরও অনেক বৃদ্ধি পাবে। পার্কসহ গাছগুলো পরিচর্যার জন্য দশজন গার্ড ও পাঁচজন সুইপার নিয়োগ করা আছে। যারা সকাল ও বিকেলে পরিচর্যার কাজ করে থাকেন। একইসাথে পুরো পার্কটিতে সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণও করা হচ্ছে।’

 

 

 

পূর্বকোণ/আরপি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট