চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

সিটি এলাকার সাত ব্যাংকের শাখা ও এটিএম বুথগুলোকে নিতে হবে ট্রেড লাইসেন্স

তফসিলি ব্যাংককে চসিকের চিঠি

ইফতেখারুল ইসলাম

১ অক্টোবর, ২০২০ | ৫:১২ অপরাহ্ণ

অবশেষে সরকারি তফসিলিভুক্ত সাতটি ব্যাংকের চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) এলাকার শাখা ও এটিএম বুথগুলো ট্রেড লাইসেন্সের আওতায় আসছে। সরকারি গেজেট অনুযায়ী প্রতিটি তফসিলি ব্যাংকের শাখা এবং এটিএম বুথের ট্রেড লাইসেন্স নেয়া বাধ্যতামূলক হলেও আজ পর্যন্ত কোন সরকারি ব্যাংকের শাখা তা নেয়নি। একারণে রাজস্ববঞ্চিত হচ্ছে চসিক। ট্রেড লাইসেন্স নিতে সম্প্রতি সাত সরকারি ব্যাংককে চিঠি দিয়েছে চসিকের রাজস্ব বিভাগ। ব্যাংকসমূহ হল সোনালী, উত্তরা, রূপালী, জনতা, পূবালী, বেসিক এবং অগ্রণী ব্যাংক।

বাংলাদেশ গেজেট অতিরিক্ত সংখ্যা ২০১৬ সালের ৩১ জানুয়ারির টেবিল ২(ক) এবং ১৮৮ অনুসারে ব্যাংকের বিভিন্ন শাখা ও এটিএম বুথসমূহের সিটি কর্পোরেশন প্রদত্ত ট্রেড লাইসেন্স গ্রহণ বাধ্যতামূলক। কিন্তু সরকারি তফসিলিভুক্ত ব্যাংকসমূহ তাদের শাখা এবং এটিএম বুথের জন্য ট্রেড লাইসেন্স নেয়নি। ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের নির্ধারিত ফি হচ্ছে, তফসিলি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান ১০ হাজার টাকা, বীমাসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের ফি পাঁচ হাজার টাকা। ২০০৪ সালের আগে ট্রেড লাইসেন্স ফি ছিল খুবই কম। ২০০৪ সাল থেকে প্রতিবছর ১০০০ টাকা ২০১৬ সালের পর থেকে তা বেড়ে যায়। বেসরকারি ব্যাংকসমূহ তা মেনে চললেও সরকারি ব্যাংকসমূহ এতদিন ধরে সেই নির্দেশ অমান্য করে সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ব্যবসা করে আসছিল। অতীতে সিটি কর্পোরেশন থেকে লাইসেন্স নেয়ার জন্য ব্যাংকসমূহকে চিঠি দেয়া হলেও তারা পাত্তা দেয়নি।

সম্প্রতি চসিকের রাজস্ব বিভাগ থেকে সাত ব্যাংককে চিঠি দেয়া হয়েছে। কেউ কেউ তাতে সাড়া দিয়ে লাইসেন্স নেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। শাখা স্থাপনের বছর থেকে তাদেরকে বকেয়া ফি প্রদান করে লাইসেন্স নিতে হবে। এতে একেকটি শাখা থেকে সিটি কর্পোরেশন প্রায় লাখ টাকা রাজস্ব পাবে। সিটি কর্পোরেশনের ধারণা সাতটি তফসিলি ব্যাংকের অন্তত ২০০ শাখা এবং এটিএম বুথ আছে। এই খাত থেকে তারা বকেয়াসহ অন্তত দুই কোটি টাকা রাজস্ব পাবেন। প্রতিবছর ২০ লক্ষাধিক টাকা ব্যাংক থেকে রাজস্ব পাবে।

জানতে চাইলে সোনালী ব্যাংকের জেনারেল ম্যানেজার মো. জাহাঙ্গীর আলম পূর্বকোণকে বলেন, সব শাখাকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ট্রেড লাইসেন্স সবাই নেবে।

চসিকের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মফিদুল আলম পূর্বকোণকে বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংককেও চিঠি দিয়েছি। এছাড়া প্রতিটি সরকারি ব্যাংককেও চিঠি দেয়া হয়েছে। তারা সিটি কর্পোরেশনের ট্রেড লাইসেন্স নিতে বাধ্য। কর্পোরেশনের চিঠিতে তারা সাড়া দিয়েছেন।

তিনি জানান, চট্টগ্রামে কতগুলো ব্যাংকের শাখা এবং এটিএম বুথ আছে তার কোন তথ্য এখনো সিটি কর্পোরেশনের কাছে নেই উল্লেখ করে বলেন, সবাই ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে নিলে তথ্য চলে আসবে।

 

 

পূর্বকোণ/পি-আরপি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট