সাইরেন বাজিয়ে দ্রুত ছুটে যাচ্ছিল লাশবাহী এম্বুলেন্সটি। কিন্তু গোয়েন্দা পুলিশের তীক্ষ্ম নজর এড়ানো যায়নি। এম্বুলেন্স থামিয়ে লাশের পরিবর্তে ডিবি পুলিশ গাড়ি থেকে বের করলেন ইয়াবার চালান। এম্বুলেন্স থেকে ২০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এ সময় আঞ্জুমান এম্বুলেন্স সার্ভিস লেখা এম্বুলেন্সটিও জব্দ করা হয়েছে।
ডিবি পুলিশের দেয়া তথ্যমতে, লাশবাহী এম্বুলেন্স ব্যবহার করে কারবারিরা ইয়াবা পাচার করছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে লিংক রোড এলাকা থেকে চালানটি জব্দ করা হয়। এ সময় পাচারে জড়িত তিনজনকে আটক করা হয়।
ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মানস বড়ুয়া জানান, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (চমেক) থেকে এক রোহিঙ্গার লাশ নিয়ে আসে এম্বুলেন্সটি। পরে লাশটি কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পৌঁছে দেয়। ফেরার পথে উখিয়া টিভি স্টেশনের পাশের আক্তার কামাল নামে এক রোহিঙ্গার বাড়ি থেকে ইয়াবার চালান নিয়ে এম্বুলেন্সে করে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় পাচারকারীরা। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চালানটি জব্দ করা হয়।
পাচারের সময় আটককৃতরা হলেন- টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের উলুবনিয়া মধ্যমপাড়া বাসিন্দা ইউসুফ আলীর ছেলে আব্দুস শুক্কুর প্রকাশ সাইফুল (২৬), ভোলা তজুমুদ্দিন কোরালমারা এলাকার খাসেরহাট বাংলাবাজারের পাশের লামচি বাসিন্দা মমতাজ মিয়ার ছেলে মো. সোহাগ (২৩) ও চট্টগ্রামের সাতকানিয়া পূর্ব নলুয়া মরফলা মোনাবর বাড়ি, কাশেম মেম্বারের এলাকার বাসিন্দা মরহুম মো. সফির ছেলে মো. ইলিয়াছ প্রকাশ ইমন (৩০)।
তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন ডিবি পুলিশের এসআই রাজীব কুমার সূত্রধর। এ মামলায় পলাতক আসামি হিসেবে আরো চার জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
পূর্বকোণ-আরপি