চট্টগ্রাম সোমবার, ০৬ মে, ২০২৪

সর্বশেষ:

দান-ছাদাকা না করলে পরকালে কঠোর শাস্তি

রায়হান আজাদ 

১৯ এপ্রিল, ২০২৩ | ১:২৯ অপরাহ্ণ

দান ও সেবা মহত কাজ। দুস্থ ও অসহায়ের মুখে হাসি ফুটানো গেলে সামাজিক বৈষম্য হ্রাস পাবে। দান করার ক্ষেত্রে স্বধর্ম-বিধর্ম তফাত করার প্রয়োজন নেই। যিনি জীবনের মৌলিক চাহিদা পূরণ করতে পারছেন না তার প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়া সবার নৈতিক দায়িত্ব।

মাহে রমজান আমাদেরকে ক্ষুধার যন্ত্রণায় যারা সারা বছর কাতরায় তাদের মর্ম বেদনা উপলদ্ধি করার সুযোগ এনে দিয়েছে। হাদিস শরীফে আছে, “রমজান হচ্ছে গরিবদের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশের মাস”। রাসুলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম গরিব অন্ন-বস্ত্রহীন মানুষের পাশে দাঁড়াবার জন্য সবসময় উপদেশ দিয়েছেন। কুরআনে হাকীমের অসংখ্য জায়গায় দান-ছাদাকার গুরুত্ব সম্পর্কে আলোকপাত করা  হয়েছে।

ইরশাদ হয়েছে, “আপনি কি দেখেছেন তাকে, যে বিচার দিবসকে মিথ্যা বলে, সে সেই ব্যক্তি যে এতিমকে গলা ধাক্কা দেয় এবং মিসকীনকে অন্ন দিতে উৎসাহিত করে না- (সুরা আল মাউন-১-৩)।”

আল্লাহ তা‘আলা বলেন, “এবং তাদের সম্পদে নির্দিষ্ট হক রয়েছে। ভিক্ষুক এবং বঞ্চিত (অভাবী অথচ লজ্জায় কারো কাছে হাত পাততে পারে না) সকলের হক রয়েছে- (সূরা আল মা‘আরেজ : ২৪-২৫)।”

একইভাবে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আল কুরআনের সুরা আল ফজর, আল হাক্কাহ, আয-যারিয়াত ও আল-ইসরায় এতিম-অসহায়দের প্রতি সদয় হওয়ার উপদেশ দিয়েছেন। আর এদের  প্রতি নিষ্ঠুর আচরণে কঠোর শাস্তির কথা উল্লেখ করেছেন। নিজে পেট পুরে খেয়ে পাড়া-প্রতিবেশী দরিদ্রের কোন খোঁজ খবর না নিলে তাকে শেষ বিচারের দিনে কঠিন প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হবে। আমাদের সমাজে দেখা যায়, অনেকে দান-ছাদাকা করতে চায় না, ধনীরা আরো ধনী হওয়ার প্রতিযোগিতায় লিপ্ত থাকে। তাদের সম্পর্কে মহানবী বলেছেন,“ মানুষ বলে আমার সম্পদ, আমার সম্পদ অথচ তিনটি ক্ষেত্রে ব্যবহৃত সম্পদই শুধু তার। যা সে খেয়ে শেষ করেছে, যা পরিধান করে নষ্ট করেছে এবং যা দান করে জমা করেছে- তাই শুধু তার। আর অবশিষ্ট সম্পদ সে ছেড়ে যাবে এবং মানুষ তা নিয়ে যাবে-(মুসলিম শরীফ)।” শেষ করছি জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের দু‘ছত্র কবিতা দিয়ে-“মৃত্যুর আর দেরী নেই তব-ফিরে চাও ফিরে চাও/পরম ভিক্ষু মোর আল্লাহর নামে/দরিদ্র-উপবাসীদের ভিক্ষা দাও!

 

 

পূর্বকোণ/এসি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট