চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

মণ্ডপে পূজার্থী নিয়ন্ত্রণ হবে তো

কৈবল্যধাম আশ্রমে বাইরে থেকে আসা ভক্তদের নিয়ে চিন্তিত আয়োজকরা

মণ্ডপে পূজার্থী নিয়ন্ত্রণ হবে তো

মণ্ডপের স্থান নিয়ে বিপাকে আগ্রাবাদ একতা সংঘ

মিটু বিভাস

২০ অক্টোবর, ২০২০ | ৪:৪৩ অপরাহ্ণ

ষষ্ঠী পূজার মধ্যে দিয়ে আগামী বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে দুর্গাপূজা। স্বাস্থ্যবিধি মেনে করোনা মহামারীর মধ্যে পূজা আয়োজনের সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পূজা উদযাপন পরিষদ। নগরীর ২৭৩টি পূজা মণ্ডপে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। নগরীর কৈবল্যধাম আশ্রমও এর ব্যতিক্রম নয়। পূজার সময় এ আশ্রমে দেশ-বিদেশ থেকে আগত ভক্তের ঢল নামে।

আয়োজনের বিশালতার কারণে গত কয়েকবছর ধরে আগ্রাবাদ একতা সংঘে পূজা মণ্ডপে বেড়েছে দর্শনার্থীর ভিড়। এবার আয়োজনের পরিধি কমলেও জায়গা পরিবর্তনের কারণে সংকুচিত হয়ে গেছে মণ্ডপের জায়গা। ফলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এসব মণ্ডপে ভক্তের সমাগম সীমিত রাখতে এবার হিমশিম খেতে হবে আয়োজকদের।

নগরীর অন্যান্য পূজামণ্ডপগুলোর মধ্যে ব্যতিক্রম কৈবল্যধাম আশ্রম। দেশের অন্যতম ধর্মীয় এ তীর্থস্থানে প্রতিমা স্থাপন করে ম-প সাজিয়ে আড়ম্বরপূর্ণভাবে পূজা উদযাপন করা না হলেও চারদিনব্যাপী বিভিন্ন আয়োজনে মুখরিত থাকে আশ্রম প্রাঙ্গণ। নানা আয়োজনে যোগ দেয় দেশ বিদেশের হাজারো ভক্ত। তবে করোনা মহামারীর কারণে এবার আয়োজনে রয়েছে সীমাবদ্ধতা।

ভক্তদের জন্য আশ্রম প্রাঙ্গণে দুবেলা প্রসাদ বিতরণ করা হচ্ছে না। মন্দিরে প্রবেশের ক্ষেত্রেও রয়েছে কড়াকড়ি। করোনা স্বাস্থ্যবিধি মেনে মুখে মাস্ক ব্যবহার করে, জীবানুমক্ত টানেলের মধ্যে দিয়ে প্রবেশ করতে হবে দর্শনার্থী ভক্তদের। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়ে প্রচারের ব্যবস্থাও করেছে আশ্রম কর্তৃপক্ষ। তবে আয়োজকদের মূল চিন্তাটা দেশ বিদেশ থেকে আগত ভক্তদের নিয়ে। করোনার প্রতিকুলতায় এবার ভারতসহ অন্যান্য দেশের ভক্তদের আসার সম্ভাবনা ক্ষীণ। কিন্তু দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিশেষ করে ফরিদপুর, শরীয়তপুর, নেত্রকোনা, নোয়খালী থেকে অসংখ্য ভক্ত পূজার সময় এখানকার তীর্থনিবাসে এসে আশ্রয় নেয়। এবার পূজার সময় যদি বাইরে থেকে আসা ভক্তদের ঢল নামে তাহলে সমস্যায় পড়তে হবে। আমাদের চেষ্টা থাকবে সকল নিয়ম মেনেই ভক্তদের ঠাকুর দর্শনের ব্যবস্থা করা।

এদিকে নগরীর বেশ কয়েকটি পূজা মণ্ডপের স্থান এতটাই অপ্রতুল যে, সন্ধ্যার আরতির পর ভক্তদের প্রবেশ করতেই হিমশিম খেতে হয়। আর তাই দল বেধে মণ্ডপে যাওয়ার ক্ষেত্রে নিরুৎসাহিত করছে মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদ। জায়গা নিয়ে সমস্যার কারণে আগ্রাবাদ একতা সংঘের পূজা মণ্ডপ নির্মাণের কাজ চলছে রাস্তার মাঝেই। পূজার সময় এ রাস্তায় চলবে মায়ের আরাধনা, এ রাস্তায় নামবে ভক্তের ঢল এবং এর মধ্যেই আসা যাওয়া করতে হবে স্থানীয় বসবাসকারীদের। ফলে শুধু ভক্ত ও পূজার্থীরাই নয়, রাস্তায় চলাচলকারী স্থানীয় অধিবাসীদের জন্যও বড় হুমকি।

এ ব্যাপারে একতা সংঘের সাধারণ সম্পাদক শিবু প্রসাদ চৌধুরী জানান, এর আগের বছরগুলোতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ অফিসের খালি জায়গায় পূজার আয়োজন হত। তবে এবার সময়মত অনুমতি না পাওয়ায় পূজামণ্ডপ অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে আসতে হয়েছে। তবে আমরা স্বাস্থ্যবিধিসহ সমস্ত নিয়ম মেনেই পূজা উদযাপনের প্রস্তুত আছি।

 

 

 

 

পূর্বকোণ/পি-আরপি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট