চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

বাঁকখালী নদীতে নিখোঁজ সেই যুবকের লাশ উদ্ধার

কক্সবাজার সংবাদদাতা

২৭ আগস্ট, ২০২০ | ২:২৩ অপরাহ্ণ

কক্সবাজারের রামু উপজেলার বাঁকখালী নদীতে ডুবে নিখোঁজ ছলিম উল্লাহ (৩৬) নামে একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে তাকে কোমরে দড়ি বাঁধা অবস্থায় পাওয়া যায় বলে দাবি করেছে নিহতের ছোট ভাই সরওয়ার কামাল।

আজ বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টায় পুরনো ঘাট এলাকার উমখালী নয়াপাড়া অংশের বাঁকখালী নদী থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। এর আগে সকাল ৭টার দিকে ওই এলাকায় নদী পার হতে গিয়ে পানিতে ডুবে তিনি নিখোঁজ হন। ছলিম উল্লাহ (৩৬) খরুলিয়া নয়াপাড়া গ্রামের মৃত ছৈয়দ আহাম্মদের ছেলে।

জানা যায়, নদীতে তার তলিয়ে যাবার খবর পেয়ে সকাল থেকে নিখোঁজকে উদ্ধারে রামু উপজেলার ফায়ার সার্ভিসের সাত সদস্যের ডুবুরি দল উদ্ধার তৎপরতা চালায়। পরে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তার মরদেহ মিলেছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দিদারুল হক।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার ভোরে ছলিম উমখালীর ওপার থেকে নিজ গ্রামে ফিরতে বাঁকখালী নদীতে সাঁতার দেয়। সাঁতার কেটে নদীর মাঝ বরাবর আসার পর ধীরে ধীরে তলিয়ে যেতে থাকে। এ সময় তাকে বাঁচাতে অনুরোধ জানিয়ে চিৎকার দেয়। লোকজন বের হয়ে পরিস্থিতি বুঝার আগেই একপর্যায়ে নদীতে তলিয়ে নিখোঁজ হন তিনি। পরে খবর পেয়ে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে রামু উপজেলার ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে আসে এবং উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে। দীর্ঘ আড়াইঘন্টা প্রচেষ্টা চালিয়ে তার মরদেহের হদিস পান ডুবুরিরা। তার কোমরে রশি দিয়ে বাঁধা লোহার ছোট একটি খন্তি মিলেছে।

স্থানীয়রা জানায়, ছলিম একজন পেশাদার চোর। এলাকার বিভিন্ন বাসাবাড়ির মোটর, মূল্যবান পণ্য চুরি তার নিত্য কাজ ছিল। অসংখ্যবার বিচার সালিশ হলেও তার স্বভাব পাল্টানো যায়নি। তাকে নিয়ে সবাই অতিষ্ট ছিল। ধারণা করা হচ্ছে নদীর ওপারে উমখালীতে রাতে চুরি করতে গিয়েছিলেন তিনি। কোথাও সুযোগ করতে না পেরে ভোরে এপারে ফিরছিল এবং লোকজনের চোখ ফাঁকি দিতে নদী সাঁতার দেয়। যেখান থেকে সাঁতার দেয়া হয় সে স্থান থেকে দু’শ গজ পূর্বে দীর্ঘ ব্রিজ আর পশ্চিমে খেয়া পারাপার রয়েছে।
পূর্বকোণ/আরফাতুল-এএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট