চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

রমজানকে সামনে রেখে পর্যাপ্ত খেজুর মজুদ

মরিয়ম জাহান মুন্নী

২২ এপ্রিল, ২০২০ | ৬:০৯ অপরাহ্ণ

  • লকডাউনে বাজারজাত করা যাচ্ছে না
  • পাইকারি বাজারে বাড়েনি দাম
  • রমজানে চাহিদা প্রায় ১৮ হাজার টন

রোজায় ইফতারের অন্যতম অনুষঙ্গ খেজুর। এ মাসে দেশে খেজুরের চাহিদা অনেক বেড়ে যায়। তাই সারা বছর আমদানি কম হলেও রমজান মাসকে কেন্দ্র করে পণ্যটি বেশি আমদানি করেন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু এবারের রমজান মাসে বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে দেশের চিত্র একেবারে ভিন্ন। রমজানকে কেন্দ্র করে ব্যবসায়ীদের মধ্যে নেই কোনো উৎসাহ। বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা হচ্ছে না খেজুর। কারণ বৈশ্বিক এ মহামারীর কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সাথে সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে আমদানি রপ্তানি। তবে বিশ্বে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আগে পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকা অবস্থায় ভারত, পাকিস্তান, ইরাক, দুবাই ও সৌদিআরব থেকে খেজুর আমদানি করা হয়েছে দেশে। যা এখন আমদানিকারকদের কাছে মজুদ রয়েছে। কিন্তু বর্তমানে দেশে লকডাউন চলার কারণে সেই আমদানিকৃত খেজুর বাজারজাত করা যাচ্ছে না বলে জানান চট্টগ্রামের আমদানিকারকরা।

চট্টগ্রামের আমদানিকারক মো. ইউনুস বলেন, দেশ লকডাউনের আগেই বিভিন্ন দেশ থেকে খেজুর আমদানি করা হয়েছে। যে খেজুরগুলো আমদানি করা হয়েছে সে খেজুর থেকে কিছু খেজুর আড়তদাররা আমাদের থেকে নিয়েছে। রমজান মাসে দেশে যে পরিমাণ খেজুরের প্রয়োজন, সে পরিমাণ খেজুর আমাদের কাছে মজুদ রয়েছে। কিন্তু লকডাউনের কারণে বাজারজাত করা যাচ্ছে না খেজুর। পর্যাপ্ত পরিমাণ খেজুর মজুদ থাকায় পাইকারি বাজারে এখনো পর্যন্ত খেজুরের দাম বাড়েনি। তবে আমদানি বন্ধের কারণ দেখিয়ে একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী খেজুরের দাম প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি বাড়িয়ে দিতে পারে। বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজর রাখা উচিত। খেজুরের মধ্যে উন্নত জাতের খেজুর আমবর, আজোয়া, মরিয়ম। এছাড়া বাংলাদেশে যেসব খেজুরের চাহিদা বেশি রয়েছে সেগুলো হলো নাগার, শাইন, ফরিদা, সুপরি, ডাবাজ ও ইরাকের বস্তা খেজুর। পাইকারি বাজারে এসব খেজুর আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। এখানে সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে আমবর। এক কেজি আমবর ২২শ’ টাকা, আজোয়া ২ হাজার, মরিয়ম ৮ হাজার, ফরিদা ৬শ’, সুপরি সাড়ে ৪শ’, ডাবাজ ২৫০ ও ইরাকের বস্তা খেজুর ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে, খুচরা দোকানিরা এক কেজি আমবর বিক্রি করছে ২৬শ’ টাকা, আজোয়া ২৪শ’, মরিয়ম ১ হাজার, ফরিদা ৮শ’, সুপরি সাড়ে ৫শ’, ডাবাজ সাড়ে ৩শ’ ও ইরাকের বস্তা খেজুর ১শ’ টাকায়। এতে দেখা যায় আমদানিকারক থেকে খুচরা বাজার পর্যন্ত তিন-চার ধাপে খেজুরের দাম বেড়েছে ৫০-৬০ শতাংশ।
বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, দেশে খেজুরের বার্ষিক চাহিদা প্রায় ২৫ হাজার টন। এর মধ্যে শুধু রমজান মাসে চাহিদার পরিমাণ প্রায় ১৮ হাজার টন। কিন্তু এবারের রমজানে করোনাভাইরাসের কারণে ব্যাংকসহ অন্য সমস্যায় খেজুরসহ বিভিন্ন আমদানি করা পণ্যের এলসি স্বল্প পরিসরে খোলা রয়েছে। তবে এটি প্রয়োজনের তুলনায় অল্প।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট