চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

চসিকের সিদ্ধান্তে সিএমপিতে ধাক্কা

ফ্লাইওভারের নিচে পে-পার্কিং ভেঙে পড়বে ট্রাফিক ব্যবস্থা !

নিজস্ব প্রতিবেদক

১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ | ৪:২১ পূর্বাহ্ণ

নগরীর ফ্লাইওভারের নিচে পে-পার্কিং করলে ট্রাফিক শৃঙ্খলা ভেঙে পড়বে বলে জানিয়েছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ। পার্কিং না দিতে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনকে চিঠি প্রদান করেছে সিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগ। এর আগে, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ফ্লাইওভারের নিচে দোকান ও পার্কিং ভাড়া দিতে গেলে সমালোচনার মুখে পড়ে তা বন্ধ হয়ে যায়। সে সময় এসব দোকানের সমালোচনা করেন সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। এ সম্পর্কে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সামসুদ্দোহা জানান, প্রায় দুইবছর ধরে আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভারের কয়েকটি পয়েন্টে গাড়ি পার্কিং করে রাখা হচ্ছে। আমরা ৪-৫টি পয়েন্টে পে-পার্কিং করবো। এখানে যান চলাচলে

কোন সমস্যা হওয়ার কথা না। সিএমপির ট্রাফিক বিভাগের আপত্তির কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রায় দু’বছর আগে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কের পাশে চিহ্নিত করে পার্কিং এর ব্যবস্থা করেছিল। সেসময় সাধারণ জনগণ ও প্রশাসন সাধুবাদ দিয়েছে। আর এখন যেখানে পে-পার্কিং করা হচ্ছে সেখানে তো ইতোমধ্যে গাড়ি পার্কিং করে রাখা হয়। এখানে ট্রাফিকের বিশৃঙ্খলা হওয়ার কোন কারণ নেই।

সিএমপির ট্রাফিক বিভাগ থেকে চসিককে দেয়া চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন সম্প্রতি আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভারের নিচে, ওয়াসা মোড়, সিডিএ রাস্তার পাশে, নিউমার্কেট এলাকাসহ আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় পে-পার্কিং এর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে যাচ্ছে বলে জানা যায়। গুরুত্বপূর্ণ এই সকল স্থানে পে-পার্কিং প্রদান করা হলে কিছু প্রতিষ্ঠান সর্বদা পে-পার্কিং এ গাড়ি রেখে স্থায়ীভাবে রাস্তাকে নিজেদের পার্কিং স্থান হিসেবে ব্যবহারের সুযোগ গ্রহণ করবে।

পাশাপাশি কিছু কিছু রাস্তা সরু হওয়ায় ঐ সকল রাস্তায় পে-পার্কিং প্রদান করলে গাড়ি চলাচলের জন্য পর্যাপ্ত জায়গা পাওয়া যাবে না। এতে অনেক গাড়ি এবং গণপরিবহন পার্কিং এর স্থান না পেয়ে এলোমেলোভাবে গাড়ি পার্কিং করবে, যার ফলে অতিরিক্ত যানজট এবং জনভোগান্তির সৃষ্টি হবে। উল্লেখ্য, গুরুত্বপূর্ণ এই সকল সড়কে পে-পার্কিং প্রদান করলে ভিআইপি এবং ভিভিআইপিদের চলাচলেও বিঘœ সৃষ্ট হবে এবং তাদের নিরাপত্তা বিঘিœত হবে। তাছাড়া, চট্টগ্রাম মহানগরীর রাস্তার উল্লেখযোগ্য অংশ অল্পবৃষ্টিতে ডুবে যায় এবং গাড়ি চলাচলের জন্য পর্যাপ্ত জায়গা থাকে না। রাস্তায় পে-পার্কিং প্রদান করা হলে বৃষ্টির সময় বা বর্ষাকালের চরম যানজটের সৃষ্টি হবে যা নিরসন করা দুঃসাধ্য হয়ে পড়বে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট