চট্টগ্রাম বুধবার, ২১ মে, ২০২৫

সর্বশেষ:

বাংলাদেশের জলসীমায় অন্য কোনো দেশ মাছ শিকার করতে পারবে না
কক্সবাজার বিএফডিসি মৎস্য অবতরণ ও পাইকারি মৎস্য বাজার কেন্দ্রের আধুনিকীকরণ প্রকল্পের নির্মাণ কাজের উদ্বোধনকালে বক্তব্য রাখছেন মৎস্য উপদেষ্টা

দেশের জলসীমায় অন্য দেশ মাছ শিকার করতে পারবে না : কক্সবাজারে ফরিদা আখতার

কক্সবাজার সংবাদদাতা

১৭ এপ্রিল, ২০২৫ | ৭:৪৬ অপরাহ্ণ

বাংলাদেশের জলসীমা থেকে অন্য কোনো দেশ আর মাছ শিকার করে নিয়ে যেতে পারবে না বলে স্পষ্ট ঘোষণা দিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে কক্সবাজার বিএফডিসি মৎস্য অবতরণ ও পাইকারি মৎস্য বাজার কেন্দ্রের আধুনিকীকরণ প্রকল্পের নির্মাণ কাজের উদ্বোধনকালে তিনি এই মন্তব্য করেন।

মৎস্য উপদেষ্টা জানান, বাংলাদেশের জেলেরা দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করে আসছিলেন যে, যখন এদেশের জলসীমায় মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা থাকে, তখন প্রতিবেশী দেশগুলোর জেলেরা এসে মাছ ধরে নিয়ে যায়। এই সমস্যার সমাধানে মৎস্য বিভাগের বিশেষজ্ঞ দল দীর্ঘ গবেষণা চালিয়ে একটি নতুন সময়সীমা নির্ধারণ করেছে, যা এখন থেকে কার্যকর হবে। এর ফলে বাংলাদেশের জলসীমা সম্পূর্ণরূপে সুরক্ষিত থাকবে এবং অন্য কোনো দেশ মাছ শিকার করতে পারবে না।

তিনি আরও জানান, মৎস্য অবতরণ ও পাইকারি মৎস্য বাজার, কক্সবাজার কেন্দ্রের আধুনিকীকরণ প্রকল্পে মোট ২৩২ কোটি ৮৩ লাখ টাকা ব্যয় হবে, যার মধ্যে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) ১৭২ কোটি ৩১ লাখ টাকা অর্থায়ন করছে। এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে মৎস্যজীবীদের জন্য উন্নত কর্মপরিবেশ তৈরি হবে এবং মাছ অবতরণের সময়ও উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাবে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা মনে করছেন, এর মাধ্যমে মানসম্পন্ন সামুদ্রিক মাছের সরবরাহ বৃদ্ধি পাবে এবং মাছ সংগ্রহ-পরবর্তী অপচয়ও কমবে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় মৎস্য সম্পদ রক্ষায় প্রতি বছর একটি নির্দিষ্ট সময় মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকে। তবে, প্রতিবেশী দেশগুলোতে একই সময়ে নিষেধাজ্ঞা না থাকায় প্রায়শই বিদেশি জেলেরা বাংলাদেশের জলসীমায় প্রবেশ করে মাছ শিকার করত, যা স্থানীয় জেলেদের জন্য একটি বড় উদ্বেগের কারণ ছিল। মৎস্য উপদেষ্টার এই ঘোষণা সেই উদ্বেগের অবসান ঘটাবে এবং দেশের মৎস্য সম্পদ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

পূর্বকোণ/এরফান/আরআর/এএইচ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট